পশ্চিমবঙ্গে যে ভুয়ো অভিযোগে বামেরা গলা ফাটাচ্ছে, সেই অভিযোগে এবার নিজেরাই বমাল ফেঁসে গেল। খালি স্থানটি বাংলা নয়, কেরল। সেখানে চাকরিতে নিয়োগের জন্য পার্টির প্রার্থী তালিকা চেয়েছেন দলেরই মেয়র। যে যে ইস্যুতে বাংলায় বামেরা চিল চিৎকার করেন, সেই ইস্যুতেই কেরলে তাঁদের মুখ পোড়ে। সেখানে রাজ্যপাল বেহিসেবি আচরণ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে চোরাচালানের অভিযোগ জানান। এবার একেবারে চাকরি দুর্নীতি।
আরও পড়ুন-ব্রহ্ম যখন নারী
সরকারি অফিসে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের জন্য দলের কাছে প্রার্থীতালিকা চেয়ে বিতর্ক জড়ালেন কেরলের সিপিএম নেত্রী তথা তিরুবনন্তপুরমের মেয়র আর্য রাজেন্দ্রন। তিনি যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তা মেয়রের প্যাডে লেখা। আর, তাতেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। বিষয়টি সামনে আসার পর মেয়রের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত আর্য রাজেন্দ্রন জানিয়েছেন, ওই চিঠি তাঁর লেখা নয়। এমন কোনও চিঠি তিনি দলকে লিখে পাঠাননি। অন্যদিকে, যাঁকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে বলে লেখা আছে, সেই জেলা সম্পাদক নাগাপ্পান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। আমি বলব না যে ওটা জাল চিঠি কারণ, আমি এমন কোনও চিঠি এখনও অবধি দেখিনি।
আরও পড়ুন-এক শৈল্পিক ছন্দের প্রতীক হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়
তিরুবনন্তপুরমের মেয়রের লেখা এই চিঠি ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই চিঠি দলের জেলা সম্পাদক অনাভুর নাগাপ্পানকে লিখেছেন আর্য রাজেন্দ্রন। চিঠিতে তারিখ দেওয়া হয়েছে ১ নভেম্বর। চিঠিতে লেখা আছে তিরুবনন্তপুরম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের শহর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৯৫টি অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের পদ ফাঁকা হয়েছে। এই নিয়োগের জন্য দল প্রার্থীতালিকা পাঠাক।
তিরুবনন্তপুরমের মেয়রের সেই চিঠি নিয়েই এখন উত্তাল সেদেশের রাজনীতি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, বিষয়টি সাজানো হলে এই ঘটনা কেরল পুলিশের সাইবার সেলকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। ২০১৬ সালে কেরলে সিপিএম ক্ষমতায় এসেছে। তারপর থেকেই তারা দলীয় কর্মীদের পিছনের দরজা দিয়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। পরে, ব্যাপারটা কার্যত নিয়মিতই হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।