সরকারি ভাতা, বাড়ি পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ খালেমা পটুয়া

পটচিত্রের রং কিন্তু বাজারি নয়। গাছ-পাতা থেকে তৈরি রং ও বেলের আঠা মিশিয়ে পট আঁকা হয়। ‘জাগোবাংলা’র নাম শুনে দাঁড়িয়ে গেলেন

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : মেদিনীপুরের খালেমা চিত্রকর জন্মসূত্রে পটুয়া। বাবা জামাল চিত্রকর। বাবার হাতেই হাতেখড়ি। রামায়ণ-মহাভারতের গল্প তুলিতে পটের ছবি এঁকে গ্রামে গ্রামে ঘুরে রোজগার করেন। মেয়ে খালেমা সেই পথের পথিক। শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায় সি ব্লকের মাটিতে বসেই পটের গান শোনাচ্ছেন। আবার পট বিক্রিও করছেন। এক-একটি পটের দাম আটশো টাকা। কোনওটাতে আছে আমবাঙালির প্রিয় মাছের গল্প। আবার কোনওটাতে আছে রামায়ণ কাহিনি। খালেমা জানান, আর্ট পেপারে এঁকে, পিছনে কাপড় সেঁটে তৈরি হয় পট।

আরও পড়ুন-৮৮ শয্যা নিয়ে প্রস্তুত মুর্শিদাবাদ

পটচিত্রের রং কিন্তু বাজারি নয়। গাছ-পাতা থেকে তৈরি রং ও বেলের আঠা মিশিয়ে পট আঁকা হয়। ‘জাগোবাংলা’র নাম শুনে দাঁড়িয়ে গেলেন। মাছের ছবি আঁকা পট হাতে নিয়ে শোনালেন পটে মাছের গান— ‘কাতলা মাছের বিয়ে দেব ভাই। চলো সবাই। পুঁটি মাছ বলে, আমরা সবাই মিলে; যাব চলে। আমরা সবাই। অল্প জলের গান গাই।’ এককলি গেয়ে খালেমা পটুয়া বলেন, ‘‘দুই ছেলেমেয়ে ও স্বামী নিয়ে সংসার। ছেলে মেহের চিত্রকর নবম শ্রেণির ছাত্র। স্কুল ছুটি থাকায় সেও মেলায় এসেছে। সরকারি সাহায্য পাই। দিদি প্রতি মাসে শিল্পী ভাতা হাজার টাকা দেন। এছাড়াও সরকারি প্রচারের কাজে টাকা পাই। বাংলা আবাসে ঘরবাড়ি পেয়েছি। দিদি আমাদের খুব ভাল। দিদিকে অশেষ ধন্যবাদ।’’

Latest article