খয়রাশোলে খনি বিস্ফোরণ, মৃতদের পরিবারের পাশে রাজ্য, মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাত

আরও বেশ কয়েকজন আহতকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Must read

প্রতিবেদন : চতুর্থীর সকালেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বীরভূমের খয়রাশোলে। কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হল ৭ শ্রমিকের। আরও বেশ কয়েকজন আহতকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় প্রশাসনকে ফোন করে মৃত শ্রমিকদের শোকস্তব্ধ পরিবার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি সবরকমভাবে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই নবান্নের তরফে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

তিনি জানিয়েছেন, খয়রাশোলের ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। বিস্ফোরণে মৃত শ্রমিকদের পরিবারগুলিকে সবরকম সাহায্যের জন্য বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতিপূরণ হিসেবে কমপেনসেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী ৩০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট খনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য ২ লক্ষ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি ও বাড়ি করে দেবে সরকার। সোমবার সকালে খয়রাশোল ব্লকের বাস্তবপুর গ্রামে গঙ্গারামপুরের কয়লা খাদানে কয়লা উত্তোলনের জন্য জেনারেটরের সঙ্গে জিলেটিন স্টিক জোড়ার সময় বিদ্যুৎবিভ্রাট হয়ে এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের জেরে মৃতদেহগুলি প্রায় ১০০-১৫০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাম মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আরও মৃতদেহের সন্ধানে তল্লাশি-অভিযান চালানো হচ্ছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনজনকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ফরেনসিক টিমকে ডাকা হয়েছে। তারা এসে তদন্ত করলে তবেই সঠিকভাবে বোঝা যাবে, কী কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছে।

Latest article