প্রতিবেদন : বাংলা এবং বাঙালির ইতিহাস নিয়ে পরিকল্পিত চক্রান্ত। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃত করে বলিউডের সিনেমা। এবং কী আশ্চর্য, সেই ছবি সেন্সর বোর্ড পাশ করছে, চলছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। কেন? কীভাবে? প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। বাংলাকে হেয় করার চক্রান্ত এই প্রথম নয়, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বারবার নানাভাবে বাংলা ও বাঙালির অস্মিতা নিয়ে টানাপোড়েন চালিয়েছে। এবার তা সীমাহীন। বিধাননগর থানায় ৭ প্রযোজকের বিরুদ্ধে বিএনএস-এর একাধিক ধারায় এফআইআর করা হয়েছে, জানিয়েছেন বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি হেড কোয়ার্টার অনীশ সরকার। সদ্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘কেশরী চ্যাপ্টার-২’।
আরও পড়ুন-চিকিৎসার নামে লুঠ বন্ধে পাশ হল বিল
অভিনয়ে অক্ষয় কুমার, আর মহাদেবন, ভিকি কৌশল, অনন্যা পাণ্ডে-সহ বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। সেখানেই অদ্ভুত ষড়যন্ত্র। মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর পদবি পাল্টে করা হয়েছে ক্ষুদিরাম সিং। বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষের নাম-পদবি বদলে গিয়ে হয়েছে ‘বারীন সিং’। আবার ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের জন্য তাঁদের বোমা বাঁধতে শিখিয়েছিলেন যে হেমচন্দ্র কানুনগো, তাঁর নামও পাল্টে করে দেওয়া হয়েছে কৃপাল সিং। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে বিপ্লবীদের বাংলার মানুষ আইডল করে রেখেছেন, তাঁদের নিয়ে এই ছেলেখেলার অধিকার কে দিয়েছে? ছবিটি তৈরি হয়েছে ‘দ্য কেস দ্যাট শুক দ্য এম্পারার বাই রঘু পালাত অ্যান্ড পুষ্পা পালাত’ বইটির গল্পকে কেন্দ্র করে। লিখেছেন, করণ সিং ত্যাগী, অমৃত পাল সিং বিন্দ্রা। করণ সিং ত্যাগী নিজেই ছবির পরিচালক। জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের ১০৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছবিটি তৈরি হয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছবি, অথচ সেখানে কী করে বসু, ঘোষ ও কানুনগো পদবি পাল্টে সিং হয়? জবাব দিতে হবে ছবির কর্তা-ব্যক্তিদের। এফআইআর হয়েছে। এবার প্রযোজক এবং পরিচালকদের জবাব দিতে হবে বাংলার মানুষের কাছে।