এসপি-র উদ্যোগে গুন্ডাদের কবল থেকে উদ্ধার হলেন অসমে অপহৃত ইঞ্জিনিয়ার

সাইটে পৌঁছে দেখেন কাজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিছুই নেই। তাঁর সঙ্গে ২২ জন ইঞ্জিনিয়ারও গিয়েছিলেন প্রজেক্টটি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য

Must read

সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর : ইঞ্জিনিয়ারকে কিডন্যাপ করে আটকে রেখে মারধর করে তাকে দিয়ে রোড কনস্ট্রাকশনের অনৈতিক কাজ করাচ্ছিল অসমের একটি প্রাইভেট কোম্পানি। কৃষ্ণনগরের সনজিৎ মুখোপাধ্যায়কে ৩১ মার্চ অসমের একটি প্রাইভেট কোম্পানি থেকে অফার দেওয়া হয় এডিবি ব্যাঙ্কের সহায়তায় শিলচরে তাদের নতুন প্রজেক্টে কাজের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। সঞ্জিতবাবু এর আগেও দিল্লি-কাটরা রোডের প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি শিলচরে যান ওই প্রজেক্টের কাজ করতে। সাইটে পৌঁছে দেখেন কাজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিছুই নেই। তাঁর সঙ্গে ২২ জন ইঞ্জিনিয়ারও গিয়েছিলেন প্রজেক্টটি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য।

আরও পড়ুন-হোটেলে নয়, তাঁবুতে থাকবেন হ্যারি কেনরা, মিশন বিশ্বকাপ ২০২৬

এর পরই ওই কোম্পানির মালিক সঞ্জিত ও তাঁর টিমকে কনস্ট্রাকশানের কাজ অতীব নিম্নমানের করতে হবে বলে জবরদস্তি করে ও ভয় দেখাতে থাকে। এরপরই ১৮ জন ইঞ্জিনিয়ার প্রজেক্ট ছেড়ে পালিয়ে আসেন। সঞ্জিত কাজ ছেড়ে দিতে চাইলে তাঁকে জোর করে কাজ করাতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। ১৯ মে কোম্পানি থেকে আরও দুজন পালানোর চেষ্টা করলে সঞ্জিত-সহ তাঁদের শিলচরের একটি গোপন ডেরায় নিয়ে আসে কোম্পানির লোকজন। সেখানে একটি ঘরে আটকে রেখে তাঁদের বেধড়ক মারধর করে বলপূর্বক অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ও কন্টাক্ট ফর্মে সই করানো হয়। প্রাণে বাঁচতে তাঁরা সেই মুহূর্তে সেখানে সই করলেও পরে সুযোগ বুঝে সঞ্জিতবাবু বাড়িতে স্ত্রী সাগরিকাকে ফোন করে বিস্তারিত জানান এবং পুলিশে অভিযোগ জানাতে বলেন। ২০ মে সাগরিকা দেবী কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জমা দেন। এরপরই পুলিশের উদ্যোগে ২১ মে এক ঘন্টার মধ্যেই সঞ্জিতবাবু এবং তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য ইঞ্জিনিয়ারদের গুন্ডাদের হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিত কুমার।

Latest article