প্রতিবেদন: গণতন্ত্রের লজ্জা। ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার আগেই ৭১ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করে নিল শাসক বিজেপি। হুমকি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলই করতে দেয়নি মোদির দল। অনেক জায়গাতেই জমা দেওয়ার পরেও মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য করা হল বিরোধী প্রার্থীদের। যে বিজেপি বাংলায় গণতন্ত্রের অবমাননা হচ্ছে বলে মিথ্যা প্রচার করে বেড়ায়, সেই বিজেপিই নিজেদের শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে হত্যা করছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে।
আরও পড়ুন-২৫ জুলাই মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়বে ডিভিসি
মঙ্গলবার ত্রিপুরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব অসিতকুমার দাস স্বীকার করেছেন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭১.৪৩ শতাংশ, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৫৫.৫৬ শতাংশ এবং জেলা পরিষদের ১৭.২৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে গেরুয়া দল। ফলে ৮ অগাস্ট ৬৩৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে নির্বাচন হবে মাত্র ১৮১৯ আসনে। সত্যিই গণতন্ত্রের নামে এ এক অদ্ভুত প্রহসন। তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে তীব্র কটাক্ষ করেছেন গেরুয়া দলকে। বলেছেন, এর বেলা গণতন্ত্রের উপরে কোনও হুমকি নেই, তাই না? কী বলেন আমাদের বিরোধী দলগুলো!