প্রতিবেদন : বিচারবিভাগকে নিজেদের কুক্ষিগত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। বেশ কিছুদিন ধরেই কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে বিচারবিভাগের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন দেশের আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে নিশানা করতে গিয়ে এবার এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির মন্তব্যকে হাতিয়ার করে জলঘোলা করার চেষ্টা করলেন রিজিজু।
কয়েকদিন আগে দিল্লি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর এস লোধি একটি ইউটিউব চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছিলেন, সর্বোচ্চ আদালত দেশের সংবিধানকেও কুক্ষিগত করে রাখছে। স্পষ্টতই মোদি সরকারের সুরে সুর মিলিয়ে তিনি কলেজিয়াম ব্যবস্থারও সমালোচনা করেন। এই ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিও জানান। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লোধির ওই বক্তব্যকেই সমর্থন করে ট্যুইটারে পোস্ট করেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ট্যুইট করেন, এটাই ভারতীয় গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। পাশাপাশি বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই ধরনের সুস্থ চিন্তাভাবনার শরিক হবেন বলে আশা করা যায়। তবে যাঁরা জনাদেশ মানতে চান না, তাঁরা নিজেদের সংবিধানের ঊর্ধ্বে বলেই মনে করেন।
আরও পড়ুন: সংবিধানের মূল কাঠামো ধ্রুবতারার মতো, কেন্দ্রকে জবাব দেশের প্রধান বিচারপতির
সকলেই মনে করছেন, রিজিজু অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লোধির বক্তব্যকে হাতিয়ার করে কলেজিয়ামে সরকারি প্রতিনিধিত্ব রাখার বিষয়ে আরও একবার জোরদার সওয়াল করেছেন। কলেজিয়ামে সরকারি প্রতিনিধি রাখার দাবি জানিয়ে কয়েকদিন আগেই আইনমন্ত্রী দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠিও লিখেছেন। পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে দিয়েও বিচারব্যবস্থার উপর চাপ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে মোদি সরকার।