নাজির হোসেন লস্কর, মথুরাপুর: বিশ্বখ্যাত বাংলার বড় উৎসব দুর্গাপুজো শেষ হল। আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। প্রতি বছরের মতো এবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের মথুরাপুর এলাকার সদিয়াল গ্রামে বিখ্যাত কোজাগরী উৎসব ২০২৫-এর শুভসূচনা করলেন সাংসদ কীর্তি আজাদ। সূচনা-অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, সাংসদ অসিতকুমার মাল, খলিলুর রহমান, আবু তাহের, মিতালী বাগ, বিধায়ক অলোক জলদাতা, যোগরঞ্জন হালদার, জয়দেব হালদার, সমীরকুমার জানা, মন্টুরাম পাখিরা, বিশ্বনাথ দাস, গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, নমিতা সাহা, জেলা সভাধিপতি নীলিমা বিশাল মিস্ত্রি, সহ-সভাধিপতি সীমান্তকুমার মালি, পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও, মহকুমাশাসক অঞ্জন ঘোষ প্রমুখ।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যে আদৃত লক্ষ্মীর পট
কোজাগরী উৎসবের মূল উদ্যোক্তা মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার। পরিচালনায় রয়েছে আমরা ভাই ভাই সংঘ। সহযোগিতায় সদিয়াল জনকল্যাণ সমিতি। এবার ১৯ বছরে পড়েছে। ছোট্ট এই গ্রাম, যেখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে লক্ষ্মী পুজো করে থাকেন। এবার প্যারিসের অপেরা হাউসের আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলার আবেগকেও। ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ স্লোগান ও সহজপাঠ, বর্ণপরিচয়ের ফ্লেক্সে মোড়া মণ্ডপ চত্বর। সেজে উঠেছে বাংলার মনীষীদের কাটআউটে। উৎসবে বাংলার কৃষ্টি কলা সুদূর ঝাড়গ্রাম থেকে আসা ছৌ-নাচের দল পরিবেশন করেন মহিষাসুর বধ।
সাংসদ বাপি হালদার বলেন, সম্প্রীতির এই পুজোকে ঘিরে কয়েক মাস আগে থাকতে প্রস্তুতি চলে। রবিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক সূচনা হল। চলবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। ক্রিকেট তারকা তথা সাংসদ কীর্তি আজাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে বলেন, সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র বাংলা। দেশের কোনও অঙ্গরাজ্যে এই উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমাদের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল ধর্মকে সমভাবে সম্মান করেন। তিনি গরিবের জন্য কাজ করাকে ধর্ম মনে করেন।