হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় মৃত্যু হয়েছে কে. কে-র

কিন্তু প্রশ্ন হল হার্ট কেন রক্ত পাম্প করতে পারছিল না? তা নিয়ে চিকিৎসকেরা জানান, হার্ট আর্টারির গায়ে জমে ছিল হলদে ও সাদা রঙের মেদ।

Must read

প্রতিবেদন: প্রকাশ্যে এল সদ্য প্রয়াত শিল্পী কে. কে-র ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট। মৃত্যুর পর কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে কে. কে-র ময়নাতদন্ত করা হয়। রিপোর্টে তাঁর হার্টের সমস্যার মতো একাধিক সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে কে. কে-র। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত সঞ্চালন করতে পারছিল না তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র। ফলে, ফুসফুস শরীরের প্রতিটি জায়গায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারেনি। ‘মায়ো কার্ডিয়াল ইন্টারপশন’-এর কথা প্রথমেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা, পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।

আরও পড়ুন-ভোগান্তির পর ফের ভোগান্তি

কিন্তু প্রশ্ন হল হার্ট কেন রক্ত পাম্প করতে পারছিল না? তা নিয়ে চিকিৎসকেরা জানান, হার্ট আর্টারির গায়ে জমে ছিল হলদে ও সাদা রঙের মেদ। আর তার জন্যই হার্ট ব্লক হয়ে যায় কে. কে-র। এর ফলে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন শিল্পী। এদিকে কে. কে-র মৃত্যুর পর নজরুল মঞ্চ ও আয়োজকদের গাফিলতি নিয়ে এখনও তোলপাড় চলছে স্যোশাল মিডিয়ায়। গায়ক কে. কে-র এই মর্মান্তিক পরিণতি কেউই এখনও কেউ মেনে নিতে পারছেন না। কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি কলেজের অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন কে. কে। অসুস্থতার কারণে মিনিট কুড়ি গানও বন্ধ রাখেন। মঞ্চেই খুব ঘামছিলেন এবং জল খাচ্ছিলেন বারবার। হোটেলের ঘরে ঢুকে সোফায় বসতে গিয়েই পড়ে যান। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Latest article