প্রতিবেদন : দ্রুত ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমেল। ২০২০ সালে করোনা আবহে কলকাতায় আমফান তাণ্ডবের স্মৃতি এখনও টাটকা। তাই এবার আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরেছে কলকাতা পুরসভা। সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও পুর-কমিশনার ধবল জৈন দিয়েছেন বিশেষ নির্দেশ। শনিবার পুর-কমিশনার ভিডিও কনফারেন্সে বোরোভিত্তিক বৈঠক করে গাছ কাটার মেশিন থেকে শুরু করে, জেসিবি, পাম্প-সহ একাধিক বিষয়ে দ্বিগুণ বা তিনগুণ বন্দোবস্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপে রওনা হলেন রোহিতরা
সিইএসসিও থানাভিত্তিকভাবে পুরসভার জন্য বিশেষ দল মোতায়েন করেছে। কোনও এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিপত্তি দেখা দিলে দ্রুত ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। শহরজুড়ে অতিরিক্ত ৩৫০টি পাম্প তৈরি রাখা হয়েছে। বরো এগজিকিউটিভদের সঙ্গে নিকাশি বিভাগের সমন্বয়ে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুর-কমিশনার। বৃষ্টি চলাকালীন একাধিক এলাকায় ম্যানহোল খুলে জল নামানোর চেষ্টা চলবে। চারটি স্থায়ী পাম্পিং স্টেশন এবং সমস্ত পকেট লগ খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা। দ্রুততার সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করার জন্য দু’দিন পাম্পিং স্টেশন ও পকেট লগের কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন কলকাতা পুরসভার উচ্চপদস্থ অফিসাররাও। এছাড়াও জল নামাতে ১৮৬টি পোর্টেবল পাম্প কাজে লাগাচ্ছে নিকাশি বিভাগ। প্রতিটা লকগেটের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর সঙ্গেও কথা হয়েছে বলে খবর পুরসভা সূত্রে। বাড়তি সতর্কতায় নজরদারি চালানো হচ্ছে পুরসভার কন্ট্রোল রুম থেকে। সম্পূর্ণ ডিজিটালভাবে তৈরি এই কন্ট্রোলরুমে রয়েছে অনলাইনে কলকাতা শহরকে দেখার ব্যবস্থা।