প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের অন্যতম জনমুখী প্রকল্প ‘রূপশ্রী’ নিয়ে আলোচনা পুরসভায়। নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্নের প্রকল্পের বিভিন্ন নিয়ম নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠলেন কাউন্সিলররা। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে রূপশ্রী নিয়ে এক কাউন্সিলর প্রশ্ন করতেই অন্যান্য কাউন্সিলররাও একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। কেউ বলেন, প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের জন্য মেয়েদের বিয়ের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা কত হওয়া উচিত? আবার কেউ জানতে চান, বিয়ের কতদিন আগে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হয়? কিন্তু গোটাটাই হল হালকা হাসি-মশকরার ছলে।
আরও পড়ুন-এক ধাক্কায় ৪ ডিগ্রি বাড়ল তাপমাত্রা, দক্ষিণে বৃষ্টি, উত্তর ঢাকল বরফে
তবে শুধুমাত্র আইনি মতে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করলেই এই প্রকল্পের আর্থিক অনুদান মিলবে কিনা, সেই প্রশ্ন শোনা গেল অধিকাংশ কাউন্সিলরের মুখে। তাই এই নিয়ে সামাজিক পরিষেবা বিভাগের মেয়র পারিষদ মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি সার্কুলার জারি করে সব কাউন্সিলরকে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন চেয়ারপার্সন সাংসদ মালা রায়। মেয়র পারিষদ এই নিয়ে জানিয়েছেন, অনেকেরই ধারণা রয়েছে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করলেই হয়ত ‘রূপশ্রী’র টাকা পাওয়া যায়! কিন্তু তা ঠিক না। এই প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারের নিয়ম হল, প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে রেজিস্ট্রি ম্যারেজের সঙ্গে সামাজিক বিয়েও জরুরি। রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেন অনেকে। রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েও দেখা যায়, তাঁরা আদৌও সামাজিক বিয়ে করেননি। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আগামী জানুয়ারি মাসে একটি সার্কুলার জারি করে সমস্ত পুর-প্রতিনিধিকে পাঠাব। তারপর প্রত্যেক কাউন্সিলর ও বিভিন্ন বরোর সামাজিক বিভাগের কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠকও করব। সেখানে তাঁদের এই বিষয়টি স্পষ্ট করার পাশাপাশি অন্য কোনও প্রশ্ন থাকলে তাও ক্লিয়ার করা হবে।