সৌম্য সিংহ : কলকাতায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেল তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট। এবার পুরসভায় প্রায় ৭২ শতাংশ ভোট পেয়েছে দল। অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন অভিযান এবং বিভিন্ন সমাজকল্যাণ প্রকল্পের প্রতি মানুষের ক্রমবর্ধমান আস্থার প্রতিফলন। মহানগরীতে অসাধারণ নাগরিক পরিষেবার স্বীকৃতি হিসেবে দল জয়লাভ করেছে ১৪৪টির মধ্যে ১৩৪টি আসনে। বিভাজনের রাজনীতি, কুৎসা, ভোট ভেস্তে দেওয়ার চক্রান্ত কোনও কিছুতেই খামতি রাখেনি গেরুয়া শিবির। তবুও কলকাতার মানুষের আস্থা অর্জনেও ব্যর্থ হয়েছে। পুরনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে শুধু ধরাশায়ী হয়নি তারা, অন্তত ৬৬টি ওয়ার্ডে বামেদের থেকেও পিছিয়ে পড়েছে তারা। এই ওয়ার্ডগুলিতে বামেরা উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। কলকাতা মহানগরীতেও সামগ্রিক পরিসংখ্যানের বিচারে বিজেপিকে পেছনে ফেলে বামেদের স্থান এখন দ্বিতীয়। তবে ‘পুওর সেকেন্ড বয়’। যদিও বামফ্রন্টের অস্তিত্বই এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গেল।
আরও পড়ুন : শোভনকে হারালেন রত্না
সিপিএম এবং সিপিআই একটি করে আসন পেলেও তারা প্রকৃত অর্থেই এখন মাইক্রোস্কোপিক। বামফ্রন্টের অন্য দলগুলিও অস্তিত্বহীন। এখানেই শেষ নয়, কলকাতা পুরভোটের ফলাফলে এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে প্রায় ১৫ আসনে বিজেপিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেসও। যদিও ১৪৪টি আসনের মধ্যে এবারে বামেরা পেয়েছে মাত্র ২টি আসন। কংগ্রেসেরও জুটেছে মাত্র ২টি আসন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, বামেদের প্রাপ্ত ভোট প্রায় ১১.৮৯ শতাংশ। গত বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতায় তারা পেয়েছিল ১০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট। অন্যদিকে বিজেপি এবারে জয় পেয়েছে মাত্র ৩টি ওয়ার্ডে। কিন্তু মহানগরীতে তাদের স্কোর যৎসামান্য। তথ্যের দাবি, তারা পেয়েছে ৯.১৯ শতাংশ ভোট। ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায়ও ব্যাপক পতন। কয়েকমাস আগেও বিজেপির ভাগ্যে জুটেছিল প্রায় ২৭ শতাংশ ভোট। লক্ষণীয়, কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৪.১৩ শতাংশ ভোট।