রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে নির্মাণ সামগ্রীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে গাইডলাইন (guideline) তৈরি করা হয়েছে। সিমেন্ট, বালি, স্টোনচিপসের মতো নির্মাণ সমাগ্রীর জন্য দূষণ এর মাত্রা কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কলকাতা পুরসভা (KMC) এবার গাইডলাইন মানার জন্য প্রমোটার এবং নির্মাণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিল। নির্মাণের ফলে দূষণ এর উপর নজরদারি করতে সেনসর (সেনসর বেসড এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম) বসানোর হবে। বেশ অনেক জায়গায় দেখা যায় নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার উপর ফেলে রেখে কাজ করা হয়। পুরসভা নির্দেশ অনুয়ায়ী সেটা আর করা যাবে না। নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখতে হবে। এলবিএস এবং আর্কিটেক্টদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। খোলা জায়গা যাতে বালি-স্টোনচিপস ফেলে না রাখা হয় সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অভিযোগ নজরে এলে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুরসভা।
আরও পড়ুন-১৫ বছরের নাবা.লিকাকে ধর্ষ.ণের দায়ে দো.ষী সাব্যস্ত হল বিজেপি বিধায়ক
কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্মীয়মাণ বাড়ি জিওটেক্সটাইল ফেব্রিক দিয়ে ঢাকতে হবে। দেওয়াল ভাল করে জল দিয়ে ধুতে হবে। যন্ত্রপাতি ভাল করে ধুতে হবে। শুধু তাই নয়, আশপাশের এলাকাতে ভাল করে জল ছড়াতে হবে। নির্মাণ আবর্জনা কোনভাবেই জমিয়ে রাখা যাবে না। পুরসভার নির্ধারিত স্থানে সব সময়মত ফেলতে হবে। যদিও সেটার জন্য পুরসভার অনুমতি নিতে হবে। পুরসভার এই নির্দেশের পর প্রমোটাররা মনে করছেন এর ফলে নির্মাণের খরচ বাড়বে। শহরে খালি জায়গার অভাব আছে বলেই রাস্তার ধারেই বালি-স্টোনচিপস রাখেন তারা। পুরসভা টাকাও নেয়। চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই খরচ বাড়বে। পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখলে পলিথিন চুরি হয়ে যেতে পারযাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
আরও পড়ুন-রেশন দোকানে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র
এই মর্মে পুর আধিকারিক তরফে খবর, কলকাতায় দূষণের মাত্রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। গাড়ির ধুলো, ধোঁয়া, নির্মাণ সামগ্রী থেকে দূষণ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপাতত নির্মাণ কাজের জন্য দূষণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিতেই হবে।