আমি বিশুদ্ধ বাঙালি পাঠক। ইংরেজি বই পড়তে আমার ভাল লাগে না। প্রচুর বাংলা বই পড়েছি। এখনও পড়ি। ‘কালোভ্রমর’ আমার খুব প্রিয় বই। আমার চেম্বারে অনেক মা আসেন বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে। আমি সেই বাচ্চাদের হাতে বই ধরিয়ে দিই। যাতে তারা মোবাইল না ঘাঁটতে পারে। ছোটদের জন্য আমার চেম্বারে আছে ভূতের গল্প, গোপাল ভাঁড়ের বই।
আরও পড়ুন-Sujay Chanda: সুজয় চন্দ (অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা ও সংগীতপ্রেমী)
আমার মা আশি ছুঁই ছুঁই। তিনি দিনরাত বই পড়েন। বই পড়তে ভালবাসে আমার ছেলেও। সবরকমের পুজো সংখ্যা আমাদের বাড়িতে এসেছে। এই মুহূর্তে আমার টেবিলে আছে শরৎ রচনাবলি, বিভূতিভূষণ রচনাবলি। দুটোই পড়া চলছে। কিছুদিন আগে ফিরে পড়লাম ‘ভোম্বল সর্দার’। আমার খুব প্রিয় বই। এইভাবে আমি বিভিন্ন বাংলা বই পড়ি। কাজের ব্যস্ততা আছে। তারমধ্যে ঠিক সময় বের করে নিই। দুপুরে ঘুম, নেটফ্লিক্স দেখা, ফেসবুক ঘাঁটা আমি একদম পছন্দ করি না।
আরও পড়ুন-তৃণমূল নেত্রীকে হুমকি বিজেপির
বেশি মোবাইল ঘাঁটলে অবসাদ আসতে বাধ্য। তাই আমি ওইসব না করে বই পড়ি। সুযোগ পেলে আমি ঠোঙাও পড়ি। উপহার হিসেবেও বই আমার পছন্দের। আমি এমন একটা দিনের স্বপ্ন দেখি, যেদিন মানুষ বিয়ে, উপনয়ন, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কাচের কাপ-প্লেট উপহার দেওয়ার বদলে শুধুমাত্র বই উপহার দেবে। বই কখনও কাউকে ঠকায় না। বরং মনকে অন্য জগতে নিয়ে যায়।
মানসিক অবসাদ দূর করে দেয়। আমি নিজেও কয়েকটি বই লিখেছি। সেগুলো মূলত গোয়েন্দা গল্প, থ্রিলার। কোর্টরুম ড্রামা। আইনজীবী প্রধান চরিত্র। লকডাউনে বেরিয়েছে আমার চারটি বই। বইগুলো পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছে। আগামী বইমেলায় প্রকাশিত হবে আমার আরও একটি বই।