কালী হল ‘কৃষ্ণ’ কালো বা ‘ঘোর বর্ণ’। কালী মানে অন্ধকার বা গাঢ় নীল। দার্শনিক ভিত্তি অনুযায়ী কালী আসলে কাল বা সময়ের প্রতীক, যে সময় অসীম অনন্ত, যার কোনও আকার নেই। যে সময়ের কোনও দিক, তল বা উচ্চতা নেই অর্থাৎ যা মানুষের মস্তিষ্কের সাধারণ ধারণক্ষমতার বাইরে। দার্শনিকদের মতে, সেই নিরাকার অনন্ত ব্রহ্মকে সাধারণের বোধগম্য করার একান্ত প্রচেষ্টা থেকেই আবরণহীন কালীমূর্তির আবির্ভাব। তাই কালীর গায়ের রঙ কালো বা গাঢ় নীল, যা শূন্যতার প্রতীক। যে শূন্যতাই এই বিশ্বের একমাত্র সরল, স্বাভাবিক সত্য। কালীর অঙ্গে গাঢ় নীল বা কালো রং দিয়ে সেই অসীমকে বোঝানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-পরপর ৫ কালীপুজোর উদ্বোধন, কুৎসার কড়া জবাব মুখ্যমন্ত্রীর, গদি মিডিয়াকে তুলোধোনা
যে কৃষ্ণ সেই কি কালী
বাংলা তখন কৃষ্ণপ্রেমে আচ্ছন্ন। দ্বাদশ শতাব্দীর অবিভক্ত বঙ্গদেশ। একদিকে সেন রাজাদের স্বেচ্ছাচার আর অন্যদিকে, বিদেশি শাসকদের লুঠতরাজ এবং উচ্চবর্ণের জমিদারবর্গের অত্যাচারে জর্জরিত অসহায় আদিবাসী বাঙালি। তারা তখন বেঁচে থাকার আশ্রয় খুঁজছিল। তন্ত্র-মন্ত্রের দেবী কালিকা হলেন সেই মহাশক্তি যাঁকে আঁকড়ে ধরে ঘুরে দাঁড়ালেন তাঁরা। কৃষ্ণপ্রেমের অহিংসতাকে পাশে রেখে অতিপ্রাকৃত শক্তির বন্দনা শুরু করলেন।
৬০০ খ্রিস্টাব্দের সময় সীমায় প্রথম কালীকে স্বতন্ত্র দেবী হিসাবে উল্লেখ মেলে হিন্দু শাস্ত্রে। শোনা গেছে, ঋষি বশিষ্ঠ তন্ত্রসাধনার দেবী কালীকে চিন থেকে প্রথম এ-দেশে নিয়ে আসেন। চিন থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত দিয়েই তিনি তন্ত্রসাধন পদ্ধতিকে ভারতবর্ষে নিয়ে এসেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাই কালী মূলত উত্তর-পূর্ব ভারতের দেবী হিসাবেই জনপ্রিয় হয়েছিলেন।
ইতিহাসবিদদের গবেষণা অনুযায়ী মা কালী এই উপমহাদেশে সেই হরপ্পা-মহেঞ্জোদাড়ো সভ্যতার সময় থেকে পূজিত হচ্ছেন। পাঁচ হাজার বছর আগে হরপ্পা সভ্যতায় এক ধরনের মাতৃমূর্তি পাওয়া গেছে যাঁর মুখমণ্ডল করোটির মতো। বিখ্যাত দার্শনিক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এই মূর্তিগুলিকে কালীমূর্তির আদি রূপ বলে চিহ্নিত করেন। এ-ছাড়া হরপ্পা সভ্যতায় বলাকা মাতৃকা পূজিত হতেন। কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, এই বলাকা মাতৃকামূর্তি আসলে কালীই। দশমহাবিদ্যার বগলা এই বলাকা থেকে এসেছেন বলেও ভাবা হয়। এ-ছাড়া গবেষকেরা এও বলছেন, হরপ্পা সভ্যতায় বলিপ্রথা ছিল সেই বলি নিতেন সপ্ত মাতৃকা। কারও কারও মতে এটাই অগ্নির সপ্তজিহ্বা। অগ্নির সাতজিহ্বার নামের মধ্যেই বৈদিক সাহিত্যে প্রথম কালীর নামের উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন-সে যতই কালো হোক
দশম-একাদশ শতকে পালযুগে কালী উপাসনার প্রচলন দেখতে পাওয়া গেছে। পালসম্রাট ধর্মপাল ছিলেন তারা মায়ের উপাসক। মায়ের যিনি ভৈরব সেই মহাকালের মূর্তি তখন তৈরি হত ধর্মপালের আদলে। দশম শতকে মহাকাল সংহিতায় মা কালীর সর্বোচ্চ সর্বময়ী কর্তৃত্বের কথা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মধ্যযুগে গৌড়ীয় বৈষ্ণব আন্দোলনের অন্দরে শাক্ত ধর্মের বৈশিষ্ট্যের দেখা মিলেছে। বৃন্দাবনে আজও কৃষ্ণ-কালীর পুজো হয়।
বিভিন্ন শাস্ত্রে কালী
ইতিহাসের বাইরে দেবীভাগবত, কালিকা পুরাণ এবং শ্রীমহাভাগবত অনুসারে আদ্যাশক্তি পরমাপ্রকৃতি কালী পরমব্রহ্মের স্বরূপ।
শিবের অভিন্ন শক্তি কালী-পুরাণের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জুড়ে রয়েছেন। দেবীমাহাত্ম্যের প্রথম অধ্যায়ের দেবী হলেন মহাকালী, যিনি ঘুমন্ত বিষ্ণুর শরীর থেকে যোগনিদ্রা রূপে আবির্ভূত হন। মধু এবং কৈটভ নামক দুই অসুরকে বধ করতে বিষ্ণুকে সহযোগিতা করতে মহামায়া রূপ ধারণ করেছিলেন মহাকালী।
মহাভারতেও কালীর উল্লেখ রয়েছে, তিনি কালরাত্রি রূপে আবিভূর্ত হয়েছিলেন। যিনি নিহত যোদ্ধা ও পশুদের আত্মা বহন করেন। দ্রোণ-পুত্র অশ্বত্থামার আক্রমণের সময় তিনি যুদ্ধে উপস্থিত হন। মহাভারতে ভদ্রকালীরও উল্লেখ রয়েছে। তিনিও পার্বতীর আর এক রূপ দেবী আদিশক্তি।
মা কালীর উৎপত্তি নিয়ে একাধিক কাহিনি রয়েছে সনাতন শাস্ত্রে। শাক্ত মতে, আদ্যাশক্তি মা কালী বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ। বলা হয়, ‘কাল শিবহ্। তস্য পত্নতি কালী।’ অর্থাৎ শিবের আরেক নাম কাল এবং তাঁর স্ত্রী কালী।
দেবীভাগবত ও মার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী শুম্ভ এবং নিশুম্ভাসুরের প্রধান সেনাপতি ছিল রক্তবীজ। তার ওপর মহাদেবের আশীর্বাদ ছিল যে রক্তবীজের দেহের একবিন্দু রক্ত ধরণীতে পড়লেই তা থেকে এক নতুন অসুরের জন্ম হবে। এই শুম্ভ এবং নিশুম্ভ দৈত্য তখন স্বর্গ, মর্ত্য পাতাল জুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। তাঁদের অত্যাচারে দেবতারা স্বর্গচ্যুত হন, ঋষিগণ বিতাড়িত হন। তখন দেবরাজ ইন্দ্র-সহ দেবতারা মা মহামায়ার তপস্যা শুরু করেন। সেই তপস্যায় দেবী প্রসন্ন হন এবং শিবজায়া পার্বতী তাঁর গাত্রকোষ থেকে পরম তেজস্বী, পরম রূপবতী নারীর সৃষ্টি করেন। পার্বতীর কোষ থেকে উৎপন্ন বলে সেই মহাকায়া দেবী কৌশিকী নামে বিখ্যাত হন। দেবী কৌশিকী রূপভেদে চণ্ডীই। মহামায়ার দেহ থেকে নিঃসৃত দেবী কৌশিকী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন, যা দেবী কালীর আদিরূপ। দেবী দেবগণকে অভয় দিয়ে রণক্ষেত্রে গেলেন। কিন্তু সেখানে রক্তবীজ তাঁকে প্রত্যাঘাত করে। দেবী তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করলেন ঠিকই কিন্তু সে যে শিবের আশীর্বাদপ্রাপ্ত তাই রক্তবীজের শোণিতধারা থেকে সৃষ্টি হতে থাকল লক্ষ লক্ষ রক্তবীজ। সেই মহাসুরকে দমন করা দুঃসাধ্য বুঝে মহাদেবী কৌশিকী, প্রলয়ঙ্করী কালীকে আহ্বান করেন। তাকে নির্দেশ দেন, দেবী কালিকা তখন সেই ভয়ঙ্কর, অসুরের রক্তপান করতে থাকেন। যার ফলে একটা সময়ের পর রক্তবীজাসুরের বিনাশ হয়।
অন্য একটি মতবাদ অনুযায়ী, দেবী দুর্গা যখন রক্তবীজের সঙ্গে লড়াই করছিলেন, তখন যুদ্ধক্ষেত্রে ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত রক্তবীজের এক ফোঁটা রক্ত থেকে জন্ম নিচ্ছিল কয়েক হাজার অসুর। যুদ্ধ চলাকালীন এই ভয়ংকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য মা দুর্গা তাঁর ভ্রু-যুগলের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেন মা কালীর। মা কালীর ভয়াল রূপ, রুদ্রমূর্তি দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান সকলে। তাঁর খড়্গে নিহত হতে থাকে একের পর এক অসুর। রক্তবর্ণ লকলকে জিভ বের করে কালী গ্রাস করে নিতে থাকেন একের পর এক অসুর এবং তাদের রণবাহিনীকে। হাতি, ঘোড়াসমেত অসুরের দলকে কালী গ্রাসও করে ফেলেন। রক্তবীজের শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্তক্ষরণ হলেও তা জিভ দিয়ে লেহন করতে থাকেন কালী। শেষে রক্তবীজকে অস্ত্রে বিদ্ধ করে তার শরীরের সব রক্ত পান করে নেন কালী। রক্তবীজের শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্ত যাতে মাটিতে না পড়ে, সে জন্য কালী তাকে শূন্যে তুলে নেন। রক্তবীজকে এক্কেবারে রক্তশূন্য করে দেহ ছুঁড়ে ফেলে দেন।
লিঙ্গ পুরাণ অনুযায়ী শিব-পার্বতীকে দারুকাসুরকে পরাজিত করতে বলেছিলেন। দারুকাসুর আবার বর পেয়েছিলেন একমাত্র কোনও মহিলাই তাঁকে হত্যা করতে পারবে। পার্বতী তখন শিবের দেহের সঙ্গে মিলিত হন, দারুকা এবং তার বাহিনীকে পরাজিত করতে কালী রূপে পুনরায় আবির্ভূত হন। সেই সময় মহাকালী ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিলেন তখন শিব হস্তক্ষেপ করলে তিনি শান্ত হন।
দেবীর নানা রূপ
তন্ত্র পুরাণে দেবী কালীর একাধিক রূপভেদের উল্লেখ রয়েছে, সেগুলো হল— দক্ষিণাকালী, কৃষ্ণকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, শ্রীকালী, ভদ্রকাকালী, চামুণ্ডাকালী, শ্মশানকালী ও মহাকালী।
মহাকাল সংহিতায় ন’প্রকার কালীর উল্লেখ পাওয়া যায়। দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, শ্মশানকালী, কালকালী, গুহ্যকালী, কামকলাকালী, ধনকালী, সিদ্ধিকালী, চণ্ডিকালিকা। আবার অভিনব গুপ্তের তন্ত্রালোক ও তন্ত্রসার গ্রন্থ দুটিতে কালীর ১৩টি রূপের উল্লেখ রয়েছে সেগুলো হল— সৃষ্টিকালী, স্থিতিকালী, সংহারকালী, রক্তকালী, যমকালী, মৃত্যুকালী, রুদ্রকালী, পরমার্ককালী, মার্তণ্ডকালী, কালাগ্নিরুদ্রকালী, মহাকালী, মহাভৈরবঘোর ও চণ্ডকালী। শেষ হবে না মায়ের রূপভেদ। তাঁদের এইসব রূপকল্পের সৃষ্টিরও হাজার একটা কাহিনি। জয়দ্রথ যামল গ্রন্থে কালীর যে রূপগুলির নাম পাওয়া যায়, সেগুলি হল— ডম্বরকালী, রক্ষাকালী, ইন্দীবরকালী, ধনদাকালী, রমণীকালী, ঈশানকালী, জীবকালী, বীর্যকালী, প্রজ্ঞাকালী ও সপ্তার্ণকালী। এছাড়াও বিভিন্ন মন্দিরে ব্রহ্মময়ী, আনন্দময়ী, মা ভবতারিণী রূপে পূজিতা হন মা কালী।
ওই কালো রূপে
অসুরদের বধ করে কালী আরও আরও উগ্রচণ্ডা হয়ে যান। বিজয় তাণ্ডব শুরু করেন। অসুরের মুণ্ড দিয়ে-দিয়ে নিজেকে সাজাতে থাকেন। কোমরবন্ধ ও গলায় মালা পরেন। তাঁর ভয়ঙ্কর নৃত্যে স্বর্গে ত্রাহি-ত্রাহি রব। দেবতারা ছুটলেন দেবাদিদেবের কাছে। কারণ গোটা
বিশ্বসংসার প্রায় ধ্বংসের মুখে। মহাদেব গেলেন তাঁর কাছে। কিন্তু তাঁকে দেখতেই পেলেন না মহাকালী! উপায়ান্তর না দেখে কালী যে পথ দিয়ে উন্মাদের মতো নৃত্য করতে-করতে এগচ্ছিলেন সেখানেই মহাদেব শুয়ে পড়েন। পায়ের নিচে স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখে লজ্জিতা হন মা। লজ্জায় জিভ কাটেন তিনি। দেবীর লাল জিভ সাদা দাঁত দিয়ে চেপে থাকার অর্থ, ত্যাগের মাধ্যমে ভোগকে দমন করার নিরন্তর চেষ্টা। কালী ত্রিনয়নী। এই ত্রিনয়ন চন্দ্র, সূর্য ও অগ্নির মতো অন্ধকার বিনাশকারী। এই ত্রিনয়নের মাধ্যমে দেবী প্রত্যক্ষ করেন সত্য, শিব ও সুন্দরকে অর্থাৎ বৃহত্তর অর্থে সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়কে। চতুর্ভুজা দেবীর দুই হাতে থাকে বরাভয় এবং আশীর্বাদ। এই আশীর্বাদ সাহস জোগায়। অপর দুই হাতে থাকে খড়্গ এবং কাটা মুণ্ড। এই খড়্গর সাহায্যে দেবী অজ্ঞানতাকে হত্যা করে জ্ঞানের জন্ম দেন। মানুষের মস্তক হল জ্ঞানের আধার, এই ধারণা থেকেই কাটা মস্তক হাতে নিয়ে দেবী অজ্ঞান মস্তিষ্কে বিশেষ জ্ঞান দান করার চেষ্টা করেন। কালীমূর্তির গলায় পঞ্চাশটি কাটা মুণ্ড থাকে, যা পঞ্চাশটি বর্ণ অর্থাৎ ভাষার প্রতীক। কোমরে ঝোলানো কাটা হাতের কোমরবন্ধনী কর্মের চিহ্ন। কারণ কর্মই আসল।
কালীপুজোর শুরু
বহু যুগ আগে কালী থাকতেন গহীন অরণ্যে, শ্মশানে, মশানে। কৃতী পণ্ডিত মহেশ্বর গৌড়াচার্যের জ্যেষ্ঠ পুত্র কৃষ্ণানন্দ ভট্টাচার্য যিনি কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ রূপে সুপরিচিত ছিলেন তিনি জঙ্গল আর শ্মশানবাসিনী মায়ের পুজো সাধারণ সমাজে শুরু করেন। তাঁর পুজো-আচ্চার প্রচার, প্রসার ঘটান। অনেক পণ্ডিতের মতে, দক্ষিণাকালী মূর্তির প্রচলন কৃষ্ণানন্দের আগে ছিল না। এ নিয়ে একটি লোককথা রয়েছে। সারারাত মা-কে নিয়ে লোককাহিনি প্রচলিত আছে। মা কালীকে সারারাত আকুল হয়ে ডেকেও সাড়া পাননি কৃষ্ণানন্দ। ভোরে চলেছেন গঙ্গাস্নানে। ওই সময় পথে এক গরিব প্রায় অর্ধ-উলঙ্গিনী গোয়ালিনী ঘুঁটে দিচ্ছিলেন। হঠাৎ সামনে আগমবাগীশকে দেখে তিনি লজ্জায় জিভ কেটে ফেলেন। একটি কাঠের পাঠাতনের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই গোয়ালিনী। কুচকুচে কালো সেই নারীর রূপ দেখে বিমোহিত হয়ে গেলেন কৃষ্ণানন্দ। রূপদান করলেন মাতৃমূর্তির। ঠিক করলেন সামনের অমাবস্যাতেই তিনি মায়ের পুজো করবেন। একদিনের মধ্যে কালীমূর্তি তৈরি করে তাতে রং করে চক্ষুদান করে পুজো করেন তিনি। নবদ্বীপের আগমেশ্বরী পাড়ায় কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের সাধনস্থলে এখনও সেই মূর্তি পুজো হয়। যদিও এ-সবই কল্পকাহিনি, জনশ্রুতি।