প্রতিবেদন : মরশুমের শুরু থেকে সবুজ-মেরুন জনতার নজরে ছিলেন তিনি। শহরে পা রাখার ২৪ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকেলে মোহনবাগান ক্লাবে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন সেরেই অনুশীলনে নেমে পড়লেন রবসন রোবিনহো। ব্রাজিলীয় ফুটবলারকে নিয়ে আবেগের বিস্ফোরণ মোহনবাগান মাঠে। ওপার বাংলায় বসুন্ধরা কিংসে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। সম্প্রতি সাওপাওলো লিগে নেইমারের বিরুদ্ধে খেলা রবসন এবার এপার বাংলাতেও সাফল্য পেতে মুখিয়ে।
আরও পড়ুন-দমদম এবং শহিদ ক্ষুদিরামের মধ্যে রাতের পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসেই রবসন বলে দিলেন, আমি মোহনবাগানকে বাছিনি, মোহনবাগান আমাকে পছন্দ করেছে। কথাতেই স্পষ্ট, বেশ ওজনদার এবং স্মার্ট ফুটবলার তিনি। প্র্যাকটিসে নামার সময় রবসন…রবসন জয়ধ্বনিতে সরগরম ময়দান। অনুশীলনেও সাম্বা ঝলক ব্রাজিলীয়র পায়ে। মোহনবাগানের প্রাণভ্রোমরা জোসে রামিরেজ ব্যারেটোর কথা শুনেছেন। জানেন, তাঁকে নিয়ে মোহনবাগানিদের আবেগ। পরিচয় না হলেও রবসন বলে দিলেন, সমর্থকদের ভালবাসা অর্জন করতে চান পারফরম্যান্স দিয়েই।
রবসনের কাছে সেরা লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দু’জনেই। তবে তিনি অনুসরণ করেন রোনাল্ডোকে। তাঁর মতোই গোল করতে ভালবাসেন। ব্রাজিলীয়র কথায়, রোনাল্ডো নম্বর ৯। আমি তাঁকে অনুসরণ করি। এখানে কোন পজিশনে আমি খেলব, তা কোচ ঠিক করবে। আমি গোল করতে ভালবাসি। আপফ্রন্টে খেললে গোল করব। যদি নিচ থেকে অপারেট করি, তাহলে সতীর্থকে গোলের পাস বাড়াব।
ডুরান্ড কাপে ডার্বি দেখেছেন ব্রাজিলে বসেই। বলছিলেন, ইস্টবেঙ্গলের কোচ তাঁর পুরনো গুরু হলেও ডার্বি দেখার সময় মোহনবাগানেই ফোকাস ছিল। কারণ, এই ক্লাবেই খেলবেন। এখানে মাঠ, বিদেশি, স্থানীয় খেলোয়াড়দের মান বাংলাদেশের থেকে অনেক ভাল। মোহনবাগানের হয়ে প্রতিটি ম্যাচে নিজের সেরাটা দিতে চাই। আইএসএল, এএফসি, সুপার কাপ খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। সব ট্রফি জিততে চাই।
রবসন-বরণের দিন কলকাতা লিগ থেকে ছিটকে গেল মোহনবাগান। ‘এ’ গ্রুপে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে প্রথম তিনে থেকে সুপার সিক্সে গেল সুরুচি সংঘ এবং ক্যালকাটা কাস্টমস। এদিন দুই দলই জিতল। মোহনবাগান-মেসারার্স ম্যাচের তিন পয়েন্ট পেলেও সুপার সিক্সে যেতে পারবে না সবুজ-মেরুন।