প্রতিবেদন : শুধু তাপ্পি মেরে দিলে চলবে না। চাই স্থায়ী সমাধান। ভবিষ্যতে এমন বিপর্যয় যাতে আর না ঘটে তার জন্য গ্যারান্টি দিতে হবে। শুক্রবার স্পষ্টভাষায় কলকাতা মেট্রোরেল (Kolkata Metro Rail) কর্পোরেশনকে একথা জানিয়ে দিলেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim)। তাঁর দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষ স্বীকার করুক মেট্রো (Kolkata Metro Rail)। বউবাজারের বিপর্যয় নিয়ে শুক্রবার জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন মেয়র। কলকাতা পুরসভা, কেএমআরসিএল-এর আধিকারিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা। দুর্গা পিতুরি লেনের বাড়িগুলিতে ফাটল ধরার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে ভবিষ্যতে তার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এক কমিটি গঠন করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, কলকাতা পুরসভাও আলাদা করে একটি সমীক্ষা চালাবে। এ ছাড়া কেএমআরসিএলও পৃথক রিপোর্ট জমা দেবে পুরসভায়। মেয়র জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। এদিকে বউবাজারে এই বিপত্তির ফলে মেট্রো-প্রকল্পের কাজ ৭-৮ মাস পিছিয়ে গেল বলে কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন সূত্রে জানানো হয়েছে। মেয়রের বক্তব্য, কোন বাড়ি ভাঙতে হবে বা কোন বাড়ি সংস্কার হবে তা যাদবপুরের বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট পেলেই স্থির করা হবে। তবে কয়েকটি বাড়ির অবস্থা খুব খারাপ। তাঁর অভিযোগ, পুরসভার সব পরামর্শ এর আগে মানেনি মেট্রো।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা মামলা: দোষী সাব্যস্ত হলেও কুণালের মুক্তি
শুক্রবার সকালেও থমথমে বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন। বাস্তুহারা ৮৬ জন। তাঁদের সাহায্যার্থে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথামতো তড়িঘড়ি কাজে নেমে পড়েছে কলকাতা পুরসভা। ফাটল নজরে আসতেই দফায়-দফায় গ্রাউটিংয়ের কাজ চালিয়ে যাওয়ায় আপাতত জল বেরনো বন্ধ হয়েছে। নতুন করে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে কেএমআরসিএল। বুধবার সকালে প্রথমে রাস্তায় ফাটল চোখে পড়েছিল। ওই দিন সন্ধেয় এলাকায় কম্পন শুরু হয়, একইসঙ্গে বেশ কয়েকটি বাড়ি, দোকানে ফাটল দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। রাত থেকেই পুলিশ বাড়িগুলি ফাঁকা করতে শুরু করে।