অল্পের জন্য রক্ষা পেল সিপির গাড়ি। মহাকরণের সামনে বিপজ্জনক ভাবে বাঁক নেওয়া সেনা ট্রাক আটকেছিল পুলিশ। ওই রাস্তায় ‘নো রাইট টার্ন’-এর চিহ্ন একটি ছবি দেখিয়ে জানানো হয়েছে, ডান দিকে বাঁক নেওয়ার অনুমতি নেই। লালবাজারের (Lalbazar) তরফে অভিযোগ করা হয়েছে গাড়িটি এরপরেও বিপজ্জনক ভাবে বাঁক নিয়ে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেছে। ওই ট্রাকের পিছনে ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার (সিপি) মনোজ বর্মার গাড়ি। অল্পের জন্য বড় বিপদ এড়িয়েছে সিপির গাড়ি।
আরও পড়ুন-স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নিয়ে বিজেপি বিধায়কের প্রশ্নের জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
এবার এই নিয়ে বিবৃতি দিল কলকাতা পুলিশ। শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনীর ট্রাকের চালকের বিরুদ্ধে FIR করা হল। হেড কোয়ার্টার ট্রাফিক গার্ডের এক ট্র্যাফিক সার্জেন্টের করা অভিযোগের ভিত্তিতে চালকের বিরুদ্ধে হেয়ারস্ট্রিট থানায় ২৮১ BNS এ মামলা রুজু হল। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন সংক্রান্ত একটি ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে কিছু মহল থেকে নানারকম বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে, ট্রাকটি বিপজ্জনকভাবে চালানো হচ্ছিল এবং ট্রাফিক লেনের নিয়ম ভাঙা হয়েছিল। অপর একটি গাড়ি চালকের তৎপরতায় অল্পের জন্য একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। দোষী চালকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যাচাই না করা তথ্য দ্বারা বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শও এদিন দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন-পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে মাইক বাজানো নিয়ে বিধানসভায় উদ্বেগ, দূষণ রোধে সচেতনতার ডাক
প্রসঙ্গত, আজ, মঙ্গলবার সকালে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তায় সিগন্যাল অমান্য করায় সেনার ট্রাকটি থামান ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা। এরপরেই খবর দেওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানাকে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই ট্রাকের পিছনেই আবার আসছিল কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মার গাড়ি। ঘটনাস্থলে পৌঁছোন সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের দফতর ফোর্ট উইলিয়ামের (বিজয় দুর্গ) কর্তারাও। ট্রাকটিকে ডেকার্স লেনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং হেয়ার স্ট্রিট থানায় কথা বলে দুপুর ১টা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান সেনার আধিকারিকেরা।