আজ মহরম (Muharram) উপলক্ষে কলকাতা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, আজ বুধবার শহরজুড়ে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের সব এলাকাজুড়ে আজ মোট ২৩০টি ছোট মিছিল এবং ১২টি বড় মিছিল হবে। সেই উপলক্ষে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মহরম উপলক্ষ্যে এদিন তাজিয়া বের করে। শহরজুড়ে একাধিক মিছিল শুরু হবে আর কিছুক্ষনের মধ্যেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে ভোর থেকেই তৎপর পুলিশ প্রশাসন। এদিন তাজিয়া, মিছিল বের হলে যানজটের সমস্যা হতে পারে। তাই আজ ট্রাফিক ব্যবস্থা অন্যরকম করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
ইতিমধ্যেই স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে থাকবে যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ পিকেট। আজ মোট ২০০টি পুলিশ পিকেটিং থাকবে শহরজুড়ে। পেট্রোলিং গাড়ি টহল দেবে সর্বত্র। মহরম উপলক্ষ্যে ৫টি বড় তাজিয়া আজ বের হবে। কলুতলা থেকে শুরু করে রবীন্দ্র সরণী, ডোরিনা ক্রসিং, খিদিরপুর, ওয়াটগঞ্জ হয়ে আরও একটি তাজিয়া পৌঁছবে সাহেবপুরে, পর্তুগিজ চার্চ থেকে শুরু করে ক্যানিং স্ট্রিট, লালবাজার, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট হয়ে একটি পৌঁছবে শিয়ালদায়। শামসুর হুদা ও রাজাবাজার থেকে একটি করে মিছিল শিয়ালদায় যাবে। তিনটি মিছিল একসঙ্গে বেলেঘাটায় যাবে বলেই খবর। এছাড়া এদিন যেকটি তাজিয়া বেরোবে প্রত্যেকটি তাজিয়াকে এসকর্ট করবেন স্থানীয় থানার পুলিশ অফিসাররা। মিছিল যেখানে শেষ হবে সেখানে দায়িত্বে থাকছেন একজন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। যান নিয়ন্ত্রণের দিকে লক্ষ্য রাখছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ–সহ উচ্চপদস্থ অফিসাররাও এদিন সকাল থেকেই রাস্তায় থাকবেন।
যেকোন রকম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি এড়াতে সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বাড়তি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হিংসার ঘটনা থেকে শহরকে বিরত রাখতে বৈঠকও করা হয়েছে। পার্ক সার্কাস, খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, একবালপুর, মোমিনপুর ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
আরও পড়ুন-মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নবান্নে পর্যালোচনা বৈঠক
এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পবিত্র মহরমের বার্তা দিয়ে লেখেন, ‘পবিত্র মহরম অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ না করার শিক্ষা দেয়। আসুন আমরা সকলে মিলে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাই।’