চেতলায় খুনের তদন্তে তৎপর কলকাতা পুলিশ! ঘটনাস্থলে পুলিশ কমিশনার

চেতলা থানা (Chetla Police station) এলাকায় এক ব্যক্তিকে গলায় রড ঢুকিয়ে খুনের ঘটনাতেও সেভাবেই তৎপর কলকাতা পুলিশ।

Must read

কলকাতা শহর তথা রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে অপরাধ প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে পুলিশি তৎপরতা। চেতলা থানা (Chetla Police station) এলাকায় এক ব্যক্তিকে গলায় রড ঢুকিয়ে খুনের ঘটনাতেও সেভাবেই তৎপর কলকাতা পুলিশ। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই অপরাধীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে তদন্তে নিজে যান কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। সেই সঙ্গে বদল করা হয় চেতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককেও। পুলিশ কমিশনার জানান, মদ্যপানের কারণে এই খুনের ঘটনা কি না, তা তদন্তেই প্রমাণিত হবে।

চেতলা থানা এলাকায় বাসস্ট্যান্ডের কাছে কয়েকজন যুবকের মধ্যে বচসায় অশোক পাসওয়ান নামে এক যুবকের গলায় রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অন্যতম দুই অভিযুক্তকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ ও স্থানীয় সিসিটিভি-র ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়।

রবিবার বেলায় ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। তিনি জানান, তথ্য় প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে। সেই সূত্র ধরেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে এটা প্রমাণিত এই দুজন ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে মদ্যপানের কারণে এই ঘটনা কি না তা তদন্তের পরেই বলা সম্ভব হবে। এলাকায় মাদক আসক্তি বাড়া ও তার জেরে অপরাধ বাড়া নিয়ে পুলিশ কমিশনার জানান, এলাকায় মাদক সংক্রান্ত অভিযোগ আগেই পুলিশের কাছে রয়েছে। সেই মতো পুলিশ এই এলাকায় নিয়মিত টহলদারি চালায়। এই সংক্রান্ত অপরাধে আগেও অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে।

এদিন খুনের ঘটনার জেরে সরিয়ে দেওয়া হয় চেতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে। চেতলার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুখেন্দু মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে সেই জায়গায় নিয়ে আসা হয় অমিতাভ সরখেলকে। তিনি আলিপুর থানার অতিরিক্ত ওসি হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। যদিও পুলিশের দাবি এটি রুটিন বদলি। তবে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ডে এই ঘটনায় পুলিশের তৎপরতা বেশি হওয়াই স্বাভাবিক।

তবে কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে। তার মধ্য়ে সুরজিৎ মণ্ডল ও তাপস পাল নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান কালীপুজোর চাঁদা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এলাকায় ঝামেলা শুরু হওয়াতেই খুনের ঘটনা ঘটে। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয় এই ঘটনায় পরবর্তী তদন্ত চালাবে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

Latest article