প্রতিবেদন : কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সাইবার বিভাগে দুটি নতুন পদ তৈরির ভাবনা। আর নতুন এই দুই পদ নিয়েই আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাব রাখতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা। প্রযুক্তির নেতিবাচক দিককে কাজে লাগিয়ে কিছু অসৎ ব্যক্তি সমাজের ক্ষতি করে চলেছে অনবরত। কড়া হাতে তাদের দমনও করছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। সাইবার জালিয়াতি ও অপরাধ রুখতে আঁটঘাট বেঁধে নামছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। এবার আরও বজ্রআঁটুনি দিতে নতুন দুই পদ তৈরির কথা ভাবছে তাঁরা। মনোজ ভার্মা জানান, জয়েন্ট সিপি সাইবার এবং জয়েন্ট লিগাল সাইবার হিসেবে দু’টি নতুন পদ তৈরি করা হচ্ছে। আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব পেশ করা হবে। এই প্রস্তাব বিনা বাধায় পাশ হবে বলেও আশাবাদী তিনি। সিপি বলেন, সাইবার উইং যেটা আছে সেটাকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হচ্ছে। কারণ, যেভাবে অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে তাতে উইংকে ভাগ করা ছাড়া উপায় নেই। সাইবার সেলকে ছোট ছোট সেলে ভাগ করা হয়েছে। ডিসি সাইবার ছিলেন, তাঁর উপর জয়েন্ট সিপি সাইবার পদও তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি এইভাবে আমরা সাইবার অপরাধ অনেকটাই কমাতে পারব। ইতিমধ্যেই পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে, লালবাজার সাইবার ক্রাইম বিভাগ নিয়ে ছয়টি ভাগে ছোট ছোট শাখা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, অর্গানাইজড সাইবার ক্রাইম শাখা, সাইবার নিরাপত্তা এবং সাইবার সেফটি শাখা, সাইবার প্রতারণা রিকভারি শাখা, সাইবার ফরেনসিক ল্যাব এবং সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন ও সাপোর্ট শাখা। ছ’টি শাখা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানের অধীনে শুক্রবার থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। এদিকে সাইবার থানায় ৭ জন ইন্সপেক্টরদের সঙ্গে ১০ জন অফিসার এবং ২৫ জন কনস্টেবল থাকবেন। অর্গানাইজড সাইবার ক্রাইম শাখায় ছ’জন ইন্সপেক্টর এবং ২৫ জন অফিসার কাজ করবেন। তাঁরা পরিস্থিতি বুঝে স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ তৈরি করে সাইবার অপরাধ চিহ্নিত করবেন। এরপর তা ঠেকানোর কাজ করবেন। বাকি শাখাগুলির দায়িত্বে থাকছেন এক জন বা দু’জন করে ইন্সপেক্টর।
আরও পড়ুন- কন্যাকে তিনতলা থেকে ঠেলে ফেলে খুনের চেষ্টা! যাদবপুরে গ্রেফতার বাবা