প্রতিবেদন : আরজি কর-কাণ্ডে ন্যায়বিচার দিতে বদ্ধপরিকর পুলিশ। সোমবার একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে কলকাতা পুলিশ সেই বার্তাই দিল। কলকাতা পুলিশের বার্তা, বিশ্বাস রাখুন। ন্যায়বিচার হবেই। দ্রুতই হবে। না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।
আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে শুরু থেকেই সক্রিয় পুলিশ। ঘটনার পরই হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তারা। ধর্ষণ ও খুনের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নেওয়ার পরেও চলছে জোরদার তদন্ত। এবার মানুষের ক্ষোভ দূর করতে আসরে নামল কলকাতা পুলিশ।
সোমবার ফেসবুক পোস্টে লালবাজারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, দ্রুত ন্যায়বিচার হবে। পোস্টে লেখা হয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যে চিকিৎসক তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে, এই কঠিন সময়ে আমরা সর্বান্তকরণে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে আছি। এই ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ, শোক, রাগ অত্যন্ত স্বাভাবিক, বিশেষ করে চিকিৎসক সমাজের এবং মৃতার পরিজনদের। এই ক্ষোভ-শোক-ক্রোধের নতমস্তক শরিক আমরাও। এই যন্ত্রণা বর্ণনাতীত। ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, আমাদের তদন্ত চলছে আন্তরিক সততা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে। এই নারকীয় ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি তথ্যপ্রমাণ-সহ। আরও কেউ ঘটনায় জড়িত ছিল কি না, সে-বিষয়েও তদন্ত চলছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে।
এই ফেসবুক পোস্টে ‘ফেক নিউজ়’ বা মিথ্যা খবর নিয়েও সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছে লালবাজার। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া খবর বা কোনও তথ্য আগে যাচাই করা এবং গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, মিথ্যা তথ্য এবং গুজবের কারণে তদন্তের গতি ব্যাহত হবে। পোস্টের একেবারে শেষে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের উদ্দেশে লেখা হয়েছে, আমরা বুঝতে পারছি আপনাদের শোক, সমর্থন করছি আপনাদের ন্যায়বিচারের দাবি। আপনাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বিশ্বাস রাখুন, যত দ্রুত সম্ভব ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। রাজ্যের মানুষের প্রতি লালবাজারের বার্তা, তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে। ন্যায়বিচার না দেওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।