কলকাতা পুলিশের বড় সাফল্য, কানাডা পাঠানোর আগেই উদ্ধার অপহৃত পাঁচ গুজরাতি

কর্মসূত্রে তাঁদের কানাডায় পাঠিয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে এবং তাঁরাও নির্দ্বিধায় সেই ফাঁদে পা দিয়ে বিপদে পড়েন।

Must read

মহিলা এবং শিশু-সহ পাঁচ জন গুজরাতিকে (Gujrat) অপহরণের অভিযোগ ওঠা মাত্রই তৎপর হয় পুলিশ প্রাশাসন। কর্মসূত্রে তাঁদের কানাডায় পাঠিয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে এবং তাঁরাও নির্দ্বিধায় সেই ফাঁদে পা দিয়ে বিপদে পড়েন। অবশেষে বুধবার ছয়দিন পর ওই পাঁচ জনকে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) উদ্ধার করেছে।

আরও পড়ুন-ফের মেট্রো বিভ্রাট, ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা

যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযুক্তদের তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কেন এবং কী ভাবে এই পাঁচ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশাল পটেল রজনীকান্ত নামের ২৬ বছরের এক যুবক রবীন্দ্রসরোবর থানায় অপহরণের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। তিনি জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর বন্ধু যোগেশ কুমার দাভি, তাঁর স্ত্রী কাজলবেন, বোন, পুত্র এবং কন্যাকে নিয়ে গুজরাত থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। বিশাল গুজরাতের মেহসানা জেলার বাসিন্দা বলে খবর। অভিলাষ নায়েক পরিচালিত ‘অ্যাব্রড ড্রিম্‌স ইমিগ্রেশন’ নামের কলকাতার একটি ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁরা। এরপরেই তাঁদের কানাডায় যাওয়ার যাবতীয় নথিপত্র জোগাড় করে দেওয়ার কথা ছিল। কলকাতায় এসে গুজরাতি পরিবার প্রথমে উঠেছিল বিমানবন্দরের সামনে ভিআইপি রোডের একটি হোটেলে যদিও পরে রবীন্দ্রসরোবর থানা এলাকার অন্য একটি হোটেলে চলে যান।

আরও পড়ুন-জিরো টলারেন্স নীতি! ট্রাক ভাঙচুরের অভিযোগে নিউ আলিপুরে সাসপেন্ড চার এসআই

সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে বাকি যে পাঁচ জন ছিলেন, তাঁরা গত ৩ জুলাই আবার কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ৩ তারিখ রাতে অভিযোগকারীকে হোয়াট্‌সঅ্যাপে ফোন করে যোগেশ জানান, তাঁরা নিরাপদে আছেন। কিন্তু কোথায় আছেন সেই বিষয়ে কিছুই জানান নি। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রবীন্দ্রসরোবর থানার পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। অবশেষে বুধবার ওই থানার তদন্তকারী একটি দল পাঁচ অপহৃত গুজরাতিকে উদ্ধার করে। গুজরাতের এই বাসিন্দারা কেন কানাডায় যেতে চাইলেন আর কী ধরনের কাজের টোপ তাঁদের দেওয়া হয়েছিল বা কারও সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Latest article