মণীশ কীর্তনীয়া : তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন কলকাতা পুরসভাকে। পুররাজনীতি তাঁর গুলে খাওয়া। কয়েক দশকের রাজনৈতিক কেরিয়ার। বহুদিনের কাউন্সিলর। অধুনা রাসবিহারীর বিধায়ক। তিনি দেবাশিস কুমার। দলের নির্দেশে আবারও পুরভোটের ময়দানে। ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। যতই পোড়খাওয়া হোন না কেন সকাল বিকেল নিয়ম করে পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষের দরজায়। ভবানীপুর বিধানসভা নির্বাচনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে আরও একবার শিক্ষা নিয়েছেন, যতই আত্মবিশ্বাসী হও না কেন প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। প্রচারের ফাঁকে দেবাশিস কুমার জানালেন, রাজ্য সরকারের সদর্থক পদক্ষেপে কলকাতার উন্নয়ন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চান আরও উন্নয়ন।
আরও পড়ুন : প্রার্থী করতে নগদ লেনদেন ,দুর্নীতির এভারেস্টে বিজেপি
তাই আমরা উন্নয়নে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করব। বললেন, ‘সারা বছর ধরেই মানুষের পাশে থাকি। আর এত বছর ধরে এখানকার মানুষের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ, তাই আলাদা কোনও ভাবনা নেই। তবে জানাতে ভুললেন না, দলের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও দল তাঁকে পুরনির্বাচন লড়াইেয়র সুযোগ দিয়েছে। পুরপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুযোগ দিযেছে। ৮৫ নং ওয়ার্ড তাঁর রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে না। বালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেবাশিস কুমার নিশ্চিত ভাবেই জয়ের দিকেই এগোচ্ছেন। বিরোধী প্রার্থীদের সম্পর্কে কোনও মন্তব্যে নারাজ। দেবাশিস কুমারের কথায়, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে আশীর্বাদ করেছেন। বিজেপিকে রুখে দিয়েছেন তাঁরাই।’l