বিহারের (Bihar) সমস্তিপুর জংশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ক্রান্তি এক্সপ্রেসে (Kranti express) অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ফেটে আগুন আতঙ্ক ছড়াল যাত্রীদের মধ্যে। ট্রেনের জেনারেল কামরাতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ফেটে হঠাৎ করেই এমন সমস্যা তৈরী হয়। ধোঁয়া বের হতে দেখে ভয় পেয়ে যান যাত্রীরা। হুড়োহুড়ি করে ট্রেন থেকে নামতে শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিআরপিএফ জওয়ান ও রেলকর্মীরা। ১২৫৬৫ বিহার সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস রাত ৯টা ২১ নাগাদ সমস্তিপুরে পৌঁছয়। রাত ৯.৪৫ নাগাদ হঠাৎ করেই ট্রেনের এক নম্বর কোচ থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। রীতিমত হুড়োহুড়ি করে ট্রেন থেকে নামতে শুরু করেন যাত্রীরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তড়িঘড়ি ট্রেন থামানো হয়। ৪৫ মিনিট ধরে ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ফাটার কারণ সামনে আসে।
আরও পড়ুন-প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হিমাচলে মৃত বেড়ে ৪০, কেদারনাথে ভূমিধসে প্রাণহানি ৩ জনের
সূত্রের খবর, যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় ২০৫০৫৬/ C কোচটি ঘুরে দেখেন আধিকারিকরা। যদিও এই ক্ষেত্রেও রেল আবার যাত্রীদের ওপরেই দোষ চাপিয়ে দেয়। তদন্তে জানা যায় যাত্রীরা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের উপর বসেছিলেন। সেই সময় যন্ত্রটি খুলে গিয়ে সিলিন্ডারে ভর্তি শুকনো রাসায়নিক পাউডার বেরিয়ে আসতে থাকে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-‘দিল্লির সরকারের আয়ু বেশিদিন নয়’ সাফ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে আগুন লাগার খবর প্রকাশ্যে আসতে প্রাণ বাঁচাতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন একাধিক যাত্রী কিন্তু শেষ পরিণতি হয় মর্মান্তিক। উল্টো দিক থেকে আসা মালগাড়িতে কাটা পড়েন অনেকেই। সেই ঘটনার স্মৃতি এখনও তরতাজা বটেই।