নয়াদিল্লি : প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলা সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় তিন কৃষি আইন বাতিলের প্রস্তাব আনা হবে। আমাদের দেশে সংসদে পাশ হওয়া যেকোনও আইন প্রত্যাহারের একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। যেমন, প্রথমত, আইন প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব তৈরি করে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর চলে স্ক্রুটিনি। আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখে সমস্ত আইনি দিক পর্যালোচনা করে। এই কাজ শেষ হলে আইনটি যে মন্ত্রকের এক্তিয়ারভুক্ত, সেই মন্ত্রক সংসদে আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব উত্থাপন করে আইন প্রত্যাহারের বিল পেশ করে। নির্দিষ্ট আইন প্রত্যাহারের বিলের উপর সংসদে বিতর্ক ও ভোটাভুটি শুরু হয়। আইন প্রত্যাহারের পক্ষে যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য ভোট দেন তাহলেই আইন প্রত্যাহার করা যায়। শেষ পর্যন্ত সংসদে আইন প্রত্যাহার বিলটি গৃহীত হলে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে আইন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই এবার যেতে হবে কৃষি আইনকেও। তবেই তা আইনগতভাবে বাতিল হয়ে যাবে।