সংবাদদাতা, বোলপুর : প্রথা অনুযায়ী ত্রয়োদশীতে বোলপুরের কাছে ৫১ পীঠের অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় কুমারীপুজো হয়। তবে এবার তিথিনক্ষত্রের হিসাবে দ্বাদশীতেই হল সেই পুজো। এই উপলক্ষে শুক্রবার হাজার হাজার পুণ্যার্থী সমবেত হন মন্দিরে। ৫১ জন বালিকাকে নিয়ে হল এই কুমারীপুজো। ১২৪ বছর আগে কাপাশটি কুরি গ্রামের কমলা দেবী চট্ট্যোপাধ্যায় এই পুজোর প্রচলন করেন।
আরও পড়ুন-বিরাটের রেস্তরাঁর উদ্বোধন আজ, কিশোরকুমারের বাংলো
কথিত ৫১ সতীপীঠের মধ্যে পড়ে কঙ্কালীতলা। এখানেই সতীর কঙ্কাল পড়েছিল। আশপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ এই পুজোকে কেন্দ্র করে মন্দিরে জমায়েত হন। প্রায় হাজার খানেক মানুষ দরিদ্রনারায়ণ সেবায় পাত পেড়ে খান। ৫১টি কিশোরীকে কোপাই নদীতে স্নান করানো হয়। গলবস্ত্র হয়ে ঢাক বাজিয়ে মহাদেব মন্দিরে তাদের নিয়ে আসা হয়। কুমারীরা লালপাড় সাদা শাড়ি পরে। কপালে চন্দন ফোঁটা-সিঁদুর, মাথায় মুকুট এবং গায়ে ওড়না। তাদের বটগাছের নিচে গোল করে বসানো হয়। এর পর মাতৃরূপে শুরু হয় তাদের পূজার্চনা এবং হোমযজ্ঞ। এবার পুজোর বয়স হল ৪৭। চট্ট্যোপাধ্যায় পরিবারের এক সদস্য বলেন, বাবা স্বপ্নাদেশে এই পুজোর প্রচলন করেন। সতীর দেহ একান্ন পীঠে পড়ে। দেবীর পূর্ণ রূপের সাক্ষাৎ পেতে শুক্রবার কঙ্কালীতলার মন্দিরে ৫১ কুমারীর পুজো করা হয়। এদের সকলের বয়স ৫ থেকে ৮ বছরের মধ্যে। এটাই এখানকার চালু রীতি।