প্রতিবেদন : প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে মোট কতজন প্রাণ হারিয়েছেন, তার সঠিক সংখ্যা গোপন না করে প্রকাশ করতে হবে। সর্বদল বৈঠকেই মোদি সরকারের সামনে এই দাবি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ উত্তরপ্রদেশে কুম্ভর দুর্ঘটনা এবং সেখানকার চরম অব্যবস্থাকে নিশানা করে যোগী সরকারের মিথ্যাচারের তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতারা৷ এই সূত্রেই শনিবার সাধারণ বাজেট পেশের দিনেও এই ইস্যুতে দিল্লিতে ফের সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় বাজেটে চা-শিল্পের কোনও উচ্চবাচ্য নেই, হতাশ চা-শিল্পমহল
তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাফ দাবি জানিয়েছেন, এবারের সংসদীয় অধিবেশনের প্রথম পর্বেই মোদি সরকারকে উত্তরপ্রদেশের কুম্ভমেলার দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদে সবিস্তারে আলোচনা করতে হবে৷ তথ্য গোপন করা হচ্ছে। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। সুদীপ বলেন, তেমন হলে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের শেষে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সংসদে দাঁড়িয়ে কুম্ভমেলার দুর্ঘটনার কারণ ও এই দুর্ঘটনায় মৃত লোকের সঠিক সংখ্যা জানানো হোক। শনিবার দিল্লিতে এই দাবি জানানোর পাশাপাশি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজবাদী পার্টির অবস্থানকেও সমর্থন করেছেন৷ তৃণমূল কংগ্রেসের মতো সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও কুম্ভর দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি তুলেছেন৷ কুম্ভর মৃত্যুমিছিলের ঘটনা এখন কেন্দ্রীয় সরকারের গলার কাঁটা হয়ে রয়েছে। প্রচারের ঢক্কানিনাদের আড়ালে চরম অব্যবস্থার খেসারত নিজেদের জীবন দিয়ে দিতে হয়েছে সাধারণ পুণ্যার্থীদের। মহাকুম্ভের সাফল্য প্রচার করে রাজনৈতিক লাভের অঙ্ক কষতে ব্যস্ত যোগী সরকার শুধু যে অব্যবস্থার মোকাবিলাতেই উদ্যোগী হয়নি তাই নয়, পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড ও পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিলের ঘটনায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির তথ্য লুকনোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।