মানস দাস, মালদহ : রেলের বঞ্চনার প্রতিবাদে সরব হলেন মালদহের কুমেদপুরের বাসিন্দারা। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সুবিধা-অসুবিধাকে আদৌ গুরুত্ব দেয় না রেল। আর সাধারণ মানুষের এইসব হয়রানি নিয়ে বিজেপি সাংসদেরও কোনও হেলদোল নেই। নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন তাঁর টিকিটিও মেলে না। দু’বছর কোনও দূরপাল্লার ট্রেন কুমেদপুর স্টেশনে না দাঁড়ানোয় সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। তাই পুনরায় ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে দফায় দফায় ধরনা অবস্থানে শামিল হয়েছেন এলাকার মানুষ। স্মারকপত্রও পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীকে। তবুও কোনও সাড়া নেই।
আরও পড়ুন : ”এই মডেল একদিন নোবেল পাবে”, ‘দুয়ারে রেশন’ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী
জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির জেরে লকডাউনের পর কিছু এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেন চলতে শুরু করলেও পূর্বের সারণি অনুযায়ী কোনও ট্রেন কুমেদপুর স্টপেজে দাঁড়ায় না। প্রায় এক মাস আগে স্টপেজের দাবিতে এক মাস ধরনায় বসেছিলেন গ্রামবাসীরা। রেল কর্তৃপক্ষ সেই সময় আশ্বাস দিলেও এখনও স্টপেজ পায়নি। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামবাসীরা ফের স্টেশন ম্যানেজারের ঘরের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনায় বসেন। গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি দাবিপত্র পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীকে।
কুমেদপুর জংশন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। করোনার আগে এখানে সাতটি এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়াত। একাধিক প্যাসেঞ্জার ট্রেনেরও স্টপেজ তো ছিলই। এখন সমস্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। যার দরুন প্রবল সমসায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান জানান, হরিশচন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ মালদহ কিংবা শিলিগুড়ি যেতে এই জংশনের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে এই জংশনে কোনও স্টপেজ নেই। কুমেদপুর জংশনকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিজেপি সাংসদের দেখা নেই। এনএফ রেল কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।