প্রতিবেদন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের ও প্রিয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগেই ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল। ত্রিপুরায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যদের উপর বর্বরোচিত হামলা। অভিযোগ, আগরতলায় মহারাজা বীর বিক্রম কলেজে তৃণমূল সমর্থক ছাত্র-ছাত্রীদের উপর RSS তথা বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি এই আক্রমণ চালিয়েছে। দীর্ঘক্ষণ “নিখোঁজ” ছিলেন এক ছাত্রী। তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর নাম সোলঙ্কি সেনগুপ্ত। শুধু শারীরিক নিগ্রহ নয়, তাঁকে অপহরণের চেষ্টা RSS তথা বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ABVP-এর দিকে।
তৃণমূলেরকয়েক ঘন্টার বিক্ষোভের পর অবশ্য ত্রিপুরায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ”নিখোঁজ” ছাত্রী সোলাঙ্কি সেনগুপ্ত প্রকাশ্যে এসেছেন। তাঁর অভিযোগ, কলেজের কমন রুমে এবিভিপির সদস্যরা জোর করে আটকে রেখেছিল। এবং সকলেই ছিল ছাত্র অর্থাৎ পুরুষ। ঘণ্টা দুয়েক পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই সময়কালের মধ্যে সোলঙ্কির না-সহ তাঁর পরিবার খুব চিন্তিত ছিলেন।
ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসে ছাত্রসমাজের সঙ্গে কথা বলবেন তৃণমূল নেত্রী
উল্লেখ্য, ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। আজ, শুক্রবার সেখানে তার প্রস্তুতি চলছিল। সেসময় আক্রান্ত হন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য হিমাদ্রি শেখর বণিক, সোলাঙ্কি সেনগুপ্ত, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও প্রতাপ সিং।
সোলাঙ্কির পরিবারের অভিযোগ, মেয়ে একাই কলেজের ছিল। তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সদস্য ছিল না। তারপরও
সোলাঙ্কির উপর। আক্রমণ করা হয়। তার মোবাইল ভেঙে দেওয়া হয়। এমনকি দীর্ঘক্ষন সোলাঙ্কি কোথায় ছিলেন তার খোঁজও পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ। এসডিপিও রমেশ যাদব খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এখনও কলেজের সামনে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক কুনাল ঘোষ। দলের নির্দেশে জরুরি পরিস্থিতিতে আজ, শুক্রবার আগরতলা পৌঁছেছেন কুণাল। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন রাজ্যসভার সংসদ শান্তনু সেন।
আগরতলা বিমানবন্দরে নেমে হোটেলে বিশ্রাম নয়, তাঁরা সরাসরি চলে যান আগরতলা পূর্ব মহিলা পুলিশ থানায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কুণাল ও শান্তনু FIR দায়ের করতে বলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল ছাত্রী সোলঙ্কি সেনগুপ্ত ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সনর্থকরা। পুলিশের উদাসীনতার বিরুদ্ধে বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা থানার বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও স্লোগান দেন।