প্রতিবেদন: বিশ্বাসঘাতক বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে এবার সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিল নন্দীগ্রাম। শনিবার নন্দীগ্রাম ব্লক ২-এর বয়ালে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে এই ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতৃবৃন্দ। বিজেপির অপপ্রচারে নন্দীগ্রামের কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে সাময়িক ভাবে সরে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতা, কর্মীদের নিবিড় জনসংযোগের ফলে তাঁরা ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নেই আস্থা রাখতে শুরু করেছেন। এদিনের জনসভা থেকে এই প্রবণতাকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ডাক দেন বক্তারা। সভার অন্যতম বক্তা তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Nandigram- Kunal Ghosh) বলেন, উন্নয়নটা তৃণমূলই করছে। উল্টোদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও তাঁদের আর্থিক নীতি মানুষের জীবন কঠিন করে তুলছে। তা থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে ধর্মকে হাতিয়ার করে বিভাজনের খেলায় নেমেছে বিজেপি। কিন্তু এই ভেদাভেদ বাংলায় চলবে না। কুণাল বলেন, আমিও তো হিন্দু। কিন্তু এই বিজেপির হিন্দুত্ব হল ভেজাল হিন্দুত্ব। এরা হিন্দুর বন্ধু নয়, মুসলমানের বন্ধু নয়, খ্রিস্টানদেরও বন্ধু নয়। এভাবে ধর্মের নামে যাঁরা ভেদাভেদের রাজনীতির ব্যবসা করেন তাঁরা কারও বন্ধু হতে পারে না। কুণাল বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসই হল মানুষের আসল বন্ধু। আপনি যদি উন্নয়নের পক্ষে থাকেন তাহলে তৃণমূলের পাশে থাকুন। রাজ্য সরকার মানুষের জন্য একাধিক প্রকল্প এনেছে। মানুষ তার সুফল পাচ্ছে। এদিন নিজের বক্তৃতায় শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করে কুণাল বলেন, উনি এখন আরএসি বিধায়ক, ওনার বিধায়ক পদ কনফার্ম হয়নি। কারণ ওনার বিধায়ক পদ নিয়ে মামলা আদালতে এখনও বিচারাধীন। অনুষ্ঠানের শেষে সভার অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন সংগীত শিল্পী ও তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সি। বক্তৃতার পর তিনি গান পরিবেশন করেন। শ্রোতাদের তরফে আসে একাধিক অনুরোধ। হাসিমুখে তাঁদের চাহিদা মেটান অদিতি মুন্সি। অদিতি যখন গান পরিবেশন করছিলেন তখন মঞ্চের সামনে শ্রোতাদের সঙ্গে মাটিতে এসে বসে পড়েন কুণাল ঘোষ (Nandigram- Kunal Ghosh)। সেখান গান শোনার পাশাপাশি শ্রোতাদের সঙ্গে জনসংযোগেও মেতে উঠেন তৃণমূল মুখপাত্র। সভায় কুণাল ঘোষ, অদিতি মুন্সি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি, বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র, নন্দীগ্রাম ব্লক ১-এর সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ, নন্দীগ্রাম ব্লক ২-এর সভাপতি অরুণাভ ভুঁইয়া, জেলা যুব সভাপতি অভিজিৎ দাস-সহ জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন-শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন, শীর্ষে তিন বিজেপি শাসিত রাজ্য