লক্ষ্য ত্রিপুরা। ২০২৩-এ বিধানসভা নির্বাচন সে রাজ্যে। তবে সেখানে কার্যত জমি হারিয়েছে প্রাক্তন শাসকদল বামেরা। সেই কারণেই এতদিন আত্মস্তুতিতে ভুগছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে, তৃণমূলের সংগঠন সে রাজ্যে যত শক্তিশালী হচ্ছে, উদ্বেগ বাড়ছে ‘পদ্মবনে’। শুক্রবার, সকালে একটি ভিডিও পোস্ট করে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন-অভিষেকের উপর হামলা: অভিযুক্তের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি বিশ্রামগঞ্জের তৃণমূল নেতৃত্বের
কুণাল টুইট করে লেখেন, “ত্রিপুরা: ভয় পেয়েছে বিজেপি। দলের সভাতেই স্বীকার করছে দুর্বলতা। আর টাটকা বৈঠকের ছবি দলের কর্মীরাই পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। বিজেপির পায়ের তলা থেকে জমি সরছে। “সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন কুণাল। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছে। সেখানে কার্যকারিণী বৈঠকে স্থানীয় বিজেপি নেতা স্পষ্ট বলছেন, সংগঠন মজবুত না হলে, দল দুর্বল হবে এবং দল দুর্বল হলে সরকারও দুর্বল হবে। অর্থাৎ বিজেপি যদি সংগঠনকে মজবুত করতে না পারে, তাহলে ২০২৩-এর নির্বাচনে সেই রাজ্যে তাদের ক্ষমতা ধরে রাখা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে কার্যত সেটা স্বীকার করে নিচ্ছেন এই দলীয় নেতা।
আরও পড়ুন-সিলিকন ভ্যালির ইন্ডাস্ট্রিতে আইটি কর্তাদের আমন্ত্রণ
কুণাল বলেন, এই ভিডিওটি তাঁকে পাঠিয়েছেন বিজেপির একজন কর্মী। আর সেটাই স্বাভাবিক। কারণ, দলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বাইরের কারও উপস্থিতি সম্ভব নয়। অর্থাৎ ত্রিপুরায় হাওয়া যে ঘুরতে শুরু করেছে, সেটা বুঝতে পেরেই বিজেপির অনেক নেতা-কর্মী পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরের দিকে আসার চেষ্টা করছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন ত্রিপুরা সফরে গিয়েছিলেন, সেদিনও তাঁকে ঘিরে যথেষ্ট উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল ত্রিপুরাবাসীর মধ্যে। সেদিন সন্ধেয় বহু নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তারপরের থেকে তৃণমূল যোগদান অব্যাহত রয়েছে। কুণাল ঘোষের ত্রিপুরার সফরকালেও অনেকেই ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি যে আশঙ্কার মেঘ দেখবে সেটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ত্রিপুরা: ভয় পেয়েছে বিজেপি। দলের সভাতেই স্বীকার করছে দুর্বলতা। আর টাটকা বৈঠকের ছবি দলের কর্মীরাই পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। বিজেপির পায়ের তলা থেকে জমি সরছে। pic.twitter.com/nBjzYwxlJP
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 6, 2021