বিশেষ সংবাদদাতা: কাঁথির সভা নিয়ে এবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি কানে যেতেই পাল্টা তোপ দেগে শুভেন্দুকে ধুইয়ে দিলেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘কাঁথির বাতাসে এখন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ভীত শুভেন্দুর অসহায় আর্তনাদ। উনি ভয় পেয়েছেন।” গত ২০ ডিসেম্বর কাঁথিতে এক বিশাল মিছিল ও জনসভা করে তৃণমূল। মূল বক্তা ছিলেন কুণাল ঘোষ। সেদিন অখিল গিরি, সুপ্রকাশ গিরি, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, আনোয়ারুদ্দিনদের কর্মসূচিতে ছিল জনস্রোত।
আরও পড়ুন-বাংলা ভাষাতেও এবার বিদ্যুৎ বিল
শনিবার শুভেন্দু সেই প্রসঙ্গ টেনে কুণাল ঘোষকে ইঙ্গিত করে কড়া আক্রমণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেন কুণাল।
শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমার বাড়ির সামনে অসভ্যতা হয়েছে। আমার বাবা, মার বয়স হয়েছে। অসুস্থ।”
কুণাল বলেন, ‘‘২০১৩ সালে চক্রান্ত করে আমাকে গ্রেফতারের পর আমার বাড়ির সামনে মাইক বাঁধার সময় খেয়াল ছিল না? তখন আমার ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের কথা কে ভেবেছিল? তাছাড়া এখন ওর বাড়ির উদ্দেশে কোনো অসৌজন্য হয়নি। ও ভাবে গোটা শহর অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের সম্পত্তি। তাই তৃণমূলের মিছিলে জনস্রোত দেখে ভয় পাচ্ছে।”
শুভেন্দু কুণালকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘‘মউনি জেলে ছিলেন।”
আরও পড়ুন-মতুয়াদের অবহেলা, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন ৫ বিধায়ক
কুণাল বলেন, ‘‘ছিলাম। সবাই জানেন। চক্রান্তে গ্রেপ্তার হই। আইনে লড়ছি। কিন্তু শুভেন্দু যাঁর পায়ে প্রণাম করে বিজেপি সাজতে গেল, সেই অমিত শাহও তো খুনের মামলায় জেলে ছিলেন। শুভেন্দু কি ওই জেলটাকে আশ্রম ভাবে?”
শুভেন্দু কুণালকে বলেন, ‘‘ইডি চার্জশিট দিয়েছে।” কুণাল বলেন, ‘‘আমি নির্দোষ। আইনে লড়ছি। কিন্তু শুভেন্দু নারদে সিবিআইর এফ আই আরে অভিযুক্ত। সারদায় নাম আছে। ও জানে ও অপরাধী। তাই গ্রেপ্তারি এড়াতে বিজেপিতে গেছে। ওর মেরুদন্ড নেই।”
শুভেন্দু বলেন, ‘‘বাড়ির সামনে অশান্তি করা তৃণমূলের সংস্কৃতি।” কুণাল বলেন, ‘‘যাঁর দয়ায় শুভেন্দু ও তার পরিবারের অনেকের প্রতিষ্ঠা, সেই রাজনৈতিক জন্মদাত্রী মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিঠে ছুরি মারতে যাওয়া বেইমান রাজনৈতিক বেজন্মার কাছ থেকে সংস্কৃতি শিখব না।”
কুণাল বলেন, ‘‘কাঁথি পুরসভায় ২১-০ জিতবে তৃণমূল। শুভেন্দু নিজের ওয়ার্ডে হারবে। মানুষকে ভয় পাচ্ছে। তাই মিথ্যা নাটক করছে। ওর হাঁটু কাঁপছে। কাঁথিতে আবার যাব। আবার মিটিং করব।”