প্রতিবেদন : লিভার, কিডনি থেকে পেটের ব্যামো। নাড়ি টিপেই বলে দেওয়া যায় রোগের ধরন ও তার গভীরতা। গাছগাছালির ভেষজ জাদুর রূপকথা শুনতে শুনতে শনিবার আয়ুর্বেদের সেই লুপ্তপ্রায় ঝলক দেখল দক্ষিণ শহরতলির গাঙ্গুলিবাগান। রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার সহযোগিতায় আয়ুরমিত্র-র আয়োজনে বিতরণ করা হল চারাগাছ।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক প্রদ্যোতবিকাশ কর মহাপাত্র নাড়ির চলন দেখে বলে দিলেন রোগীর সমস্যা। সব দেখে-শুনে তাজ্জব উদ্বোধক প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। বিস্মিত স্থানীয় বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। তাঁরা চাক্ষুষ করলেন পাঁচ হাজার বছরের পুরনো চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষমতা। একদা এই বঙ্গের বৈদ্যরাই তো গোটা দেশ তথা বিশ্বকে আয়ুর্বেদ শিখিয়েছেন। দেখিয়েছেন তার জাদু।
এদিনের অনুষ্ঠানে আমলকী, শিউলি, বহেড়া, অশোক, কাঞ্চন, তুলসী-সহ এক হাজার চারাগাছ বিতরণ করা হয়। আয়ুরমিত্র-র কর্ণধার সুচেতা ঘোষ জানান, এই ভেষজগুলি থেকে চরক-সুশ্রুতের সময়কাল থেকে তৈরি হচ্ছে জীবনদায়ী ওষুধ। আরোগ্যবর্ধনী, লক্ষ্মীবিলাস বটি, সুদর্শনঘন বটি, ভুবনেশ্বর রস, বাতগজাঙ্কুশ, বসন্তকুসুমাকার। বিপণিতে ঢুকে ধ্রুপদী ওষুধের সম্ভার দেখে বিস্মিত কুণাল ঘোষ। আয়ুর্বেদের সঙ্গে পারাবারিক যোগসূত্র উল্লেখ করে স্থানীয় মুকুল বোস মেমোরিয়াল, কেন্দুয়া স্কুলের কচিকাঁচাদের তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় মা-ঠাকুমারা তুলসী পাতা খাইয়ে দিতেন। আর এখন তুলসী থেকে আয়ুর্বেদ ট্যাবলেট-ড্রপ তৈরি হচ্ছে। ফলে যাঁদের বাড়িতে গাছ লাগাবার সুযোগ নেই তাঁরাও কিন্তু এই ওষুধ থেকে সুস্থ থাকার রসদ খুঁজে পাবেন।