সোমনাথ বিশ্বাস, আগরতলা: ত্রিপুরার মন্ত্রী ও বিজেপি নেতাদের কুৎসার কড়া জবাব দিয়ে পাল্টা চাপ বাড়িয়ে গেলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোমবার কলকাতা ফেরার আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়ে যান তিনি।
*বিজেপির অভিযোগ: তৃণমূলের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন।
কুণাল: একদম না। ওঁরা বাংলার ভোটের আগে বাংলায় গিয়ে কী করেছিলেন মনে আছে? ওওওও দিদি সুর করে নেত্রী ও অভিষেককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন বারবার। ‘বিগ ফ্লপ দেব’ও গিয়ে কুৎসা করেছিলেন। এখন বড় বড় কথা? অভিষেক যা বলেছেন ঠিক করেছেন। দেখ কেমন লাগে!
* বিজেপির অভিযোগ- সারদা, নারদার টাকায় সভা করেছে তৃণমূল।
কুণালের জবাব- বাজে কথা না বলে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সিবিআইকে জানাক ওদের মন্ত্রী। এরপর মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মোদির সুরে কুণাল বলেন,” ওওওওওও সুশান্ত, তুমি কি জানো সারদার মালিক সুদীপ্ত সেনের দুটো চিঠিতেই টাকা নেওয়ার তালিকায় বিজেপির নেতা এখন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নাম আছে? কেন গ্রেপ্তার করেনি সিবিআই? ওওওওও সুশান্ত, নারদায় সিবিআই এফ আই আরে নাম শুভেন্দু অধিকারীর। সারদা নথিতেও ওর নাম। গ্রেপ্তার হয়নি কেন? এসব কথা তুললে সমস্ত নথি দেখিয়ে মানুষকে সবটা বুঝিয়ে দেব। সস্তা রাজনীতি বন্ধ করো।
* বিজেপির অভিযোগ- তৃণমূলের সভায় বাইরের লোক ছিল।
কুণালের জবাব- আগরতলা আর ত্রিপুরার মানুষই তৃণমূলের সভার পক্ষে যথেষ্ট। হাইকোর্ট ৫০০ জনের নির্দেশ দিয়েছিল। আমরা মেনেছি। ওরা তো মূল সভাটা এত চেষ্টা করেও আটকাতে পারেনি। আমরা বারণ করলেও সভা থেকে দূরে প্রচুর মানুষ ছিলেন। নির্দেশ না থাকলে অন্তত আট দশ হাজারের জমায়েত হত, পুলিশই বলছে। বাইরের কিছু কর্মী আসতেই পারে। সেটা ০.১% -এর বেশি নয়। বিধানসভার আগে বাংলায় কত লোক নিয়ে গেছিল বিজেপি? জেলায় জেলায় হোটেল বুকিং ছিল। সেসব খাতা খুলব নাকি? আমাদের দল এখানে নতুন করে কাজ শুরু করেছে। এখানকার সংগঠকদের সাহায্য করতে দুএকজন অভিজ্ঞ কর্মী আসতেই পারেন। এখানে জঙ্গলরাজ চলছে। তাই দুএকজন সাংসদ বা মন্ত্রী আসতেই পারেন। আমাদের নেতাদের উপর হামলা হলে তো পুলিশ বাঁচায় না। হামলাকারীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে সন্দেশ রসগোল্লা খাওয়াতে স্বেচ্ছাসেবী থাকলে ক্ষতি কী? বিজেপি সভা আটকাতে পারেনি। লক্ষ লক্ষ মানুষ মিডিয়াতে সভা দেখেছেন। বিজেপি বুঝেছে পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে। তাই আতঙ্কে ভুগছে। প্রলাপ ভুগছে। সাধারণ মানুষের উপরেও জুলুম করছে। বিমানবন্দর, স্টেশন, সড়ক, সব জায়গায় হেনস্থা চলছে। যাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই, তাদেরও হয়রান করছে। মানুষ বিরক্ত। যিনি হয়ত তৃণমূলকে ভোট দিতেন না, এবার তিনিও তৃণমূলকে ভোট দেবেন। বিজেপি জুলুম করে আমাদের সমর্থন বাড়িয়ে দিল।