‘সমস্ত ভোগ করে অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড তৈরি করেছে শুভেন্দু’ নন্দীগ্রামে তোপ কুণাল ঘোষের

আজ ১০ নভেম্বর। মনে পড়ে যায় নন্দীগ্রামে সিপিএম হার্মাদদের "অপারেশন সূর্যোদয়''-এর নামে সংগঠিত গণহত্যার সেই অভিশপ্ত দিন।

Must read

আজ ১০ নভেম্বর। মনে পড়ে যায় নন্দীগ্রামে সিপিএম হার্মাদদের “অপারেশন সূর্যোদয়”-এর নামে সংগঠিত গণহত্যার সেই অভিশপ্ত দিন। শহিদ হয়েছিলেন গরিব কৃষক পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন-ছট পুজো উপলক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা

২০০৭-এর ১০ নভেম্বর, নন্দীগ্রামে সেই গুলি চালানোর প্রতিবাদে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির উদ্যোগে প্রতিবারের মতো এবারও শহিদদের স্মরণ করা হচ্ছে। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিল শহীদ পরিবারের সদস্যরাও। এই দিনটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শহিদ স্মরণে যোগদান করেন কলকাতা থেকে আসা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।

এদিন নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ-এ তেখালিতে জনসভা করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। এবার সেই সভাতে যোগ দিয়ে শহিদ তর্পনের পাশাপাশি শুভেন্দু ও অধিকারী পরিবারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

আরও পড়ুন-সকল রাজ্যবাসীকে ছট পুজোর শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভাষণের আগাগোড়া শুভেন্দুকে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করে কি বললেন কুণাল ঘোষ

শহিদের রক্ত বেচে রাজনৈতিক কেরিয়ার তৈরি করেছে গদ্দার শুভেন্দু

অধিকারী পরিবার নন্দীগ্রামে সিপিএমকে ঢুকিয়েছে। দখল করিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে নেতা সাজতে এসেছিল। অথবা শিশির অধিকারী ও শুভেন্দুর সঙ্গে এলাকার কোনও যোগাযোগ ছিল না।

শহীদবেদিতে মালা দিতে হলে, মাথা নিচু করে ক্ষমা চেয়ে তারপর স্পর্শ করতে হবে

শহিদ মাতা ফিরোজা বিবিকে প্রণাম জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন কুণাল ঘোষ

আপনারা আন্দোলন করেছেন, আসল লড়াই নন্দীগ্রামের মানুষ করেছেন। আমরা সেটা সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছি

শুভেন্দু অধিকারী অকৃতজ্ঞ, বেইমান বলেছে শহিদবেদীতে মালা দিতে চায়

হিন্দু-মুসলমান করেছে। বিষ ছড়িয়েছে ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে। নন্দীগ্রামকে ধর্মের নামে ভাগ করেছে শুভেন্দু

মুসলমানদের জেহাদি বলা শুভেন্দু শহিদের বেদিতে মালা দিতে চায়, নির্লজ্জ, বেহায়া, নরকের কীট

ফিরোজা বিবির সন্তান জমি আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন। তিনি শহীদ মাতা, শুভেন্দু কি ফিরোজা বিবিকে জেহাদির মাতা বলবে?

শহীদের মধ্যে মুসলমানের রক্ত রয়েছে, জানোয়ার, জন্মের ঠিক নেই শুভেন্দুর

শুভেন্দু তোমাকে, তোমার গোটা গুষ্টিকে রাজনৈতিক জন্ম দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সমস্ত ভোগ করে অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড তৈরি করেছে শুভেন্দু

খুনের মামলায় জেলে থাকা অমিত শাহের জুতো পালিশ করছে শুভেন্দু

নন্দীগ্রামে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি দিয়ে আন্দোলন হয়েছে। একদিকে আজানের শব্দ ও অন্যদিকে আরতির ধ্বনি এসেছে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে

শুভেন্দু তুমি হিন্দু সেজে মুসলমানদের অপমান করেছো, কোন লজ্জায় শহিদবেদীতে মালা দেবে?

নন্দীগ্রামে আন্দোলনে হিন্দুর পাশে মুসলমান ছিল, হিন্দু শহিদের সঙ্গে মুসলিম শহিদের রক্ত ছিল

দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান সকলের ভূমিকা ছিল। আমার সললকে এক রাখতে চাই, আর বিজেপি ভাগ করতে চায়

সিপিএম জোর করে জমি দখল করতে চাইছিল, তার প্রতিবাদে আন্দোলন করেছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। তখন শুভেন্দু কাঁথির এসি ঘরে বসে ছিল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রাম থেকে হত। কিন্তু শুভেন্দু কাউন্টিংয়ে চুরি করেছে। নন্দীগ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এখানকার মানুষ। কিন্তু তারা সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছেন।

অনেকে ভুল বুঝে প্ররোচনায় বিজেপিতে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে হবে। অনেক MLA, MP তৃণমূলে আসছেন

আদি বিজেপির সঙ্গে আমাদের মতাদর্শের লড়াই, নীতির লড়াই। ওদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। শুধু শুভেন্দুর মতো বেইমান, গদ্দার, ক্ষতিকারক, সুবিধাবাদীদের চিহ্নিত করে নন্দীগ্রামের মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে

ভোটের সময় ভুল বুঝিয়ে, বিভ্রান্ত করেছিল, ভোটের পর মানুষ বুঝতে পারছে, তারই প্রতিফলন উপনির্বাচনগুলিতে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী তো ছিলই, এরপর দুয়ারে সরকারে স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষী ভান্ডারের সুবিধা পাচ্ছেন মানুষ

বিজেপির বাড়ির মা-বোনেরাও তো লক্ষীর ভান্ডার পেয়েছেন, তাই তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিচ্ছেন। সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না শুভেন্দু অধিকারী। সব অংক গুলিয়ে যাচ্ছে ওর। আসলে ওরা রোটি-কাপড়া-মকানের রাজনীতি করে না, ধর্মের নামে রাজনীতি করে

কৃষকরা যখন দেশজুড়ে আন্দোলন করছে, তখন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীর ছেলেরা গাড়িচাপা দিয়ে, গুলি করে কৃষক হত্যা করছে। আর যখন পারছে না, তখনই মানুষের মন ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য হিন্দু-মুসলমানের রাজনীতি করছে

নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর চোখ দিয়ে দেখতে চেয়েছিল, আসমা তৃণমূল নেত্রীর পিঠে ছুরি মেরেছে গদ্দার, জানোয়ারটা

বিধায়ক হিসেবে নন্দীগ্রামের জন্য কিছুই করেনি, শুধু সর্বনাশ করেছে। আমি আমি আমি করে নিজেরটা গুছিয়েছে। আর যেটুকু সুবিধা নন্দীগ্রামের মানুষ পাচ্ছেন, সেটা বিধায়কের জন্য নয়, রাজ্য সরকার করছে

কোর্টে হারবে। নতুন করে কাউন্টিং হতে দিন। ২২ হাজার ভোটে জিতবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচনে ঘাড় ধরে নন্দীগ্রাম থেকে তাড়াবেন শুভেন্দুকে।

আগামিদিনে যে যে ভোট আসছে লোকসভা থেকে পঞ্চায়েত, নন্দীগ্রাম ও মেদিনীপুরের পবিত্র মাটি থেকে অধিকারী পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দিন।

Latest article