মুখ্যমন্ত্রীর চাপে কেন্দ্র কার্যত বাধ্য হয়েছেন কুফলকে সুফলে পরিণত করতে। জাতীয় গ্রন্থাগারের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভাষা ভবনে বৃহস্পতিবার শিল্প ও বণিক মহলের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জিএসটির পরিবর্তন আলোচনা করলেন। এর পরেই এই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এই যে আজ সুফল বোঝাচ্ছেন এটা তো আসলে ছিল কুফল। সুফলটা তো এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি যে জিএসটির কাঠামো করেছিলেন সেটা পুরোটাই ছিল কুফল। একদম ধনীতম ব্যক্তিরা যে জিনিস ব্যবহার করে তার ওপর জিএসটি এই বা কম আর সাধারণ মানুষ, গরিব, মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত মানুষ যা ব্যবহার করে তার জিএসটি বেশি। স্বাস্থ্যবীমা বা জীবনবীমা যেগুলো মানুষের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তার ওপর ১৮ পার্সেন্ট জিএসটি। এই বিষয়টি প্রথম তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের ও তৃণমূল কংগ্রেসের কথায় এখন দেশবাসী সচেতন হয়েছেন। উনি সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছেন। সুতরাং উনি দিয়েছিলেন কুফল কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা সুফলে পরিণত করতে বাধ্য করেছেন কেন্দ্রকে।”
আরও পড়ুন-আইনজীবীর বাড়ির সামনে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব থামাতে গিয়ে আক্রান্ত নেতাজিনগর থানার পুলিশ
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জিএসটি সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে কলকাতায় এলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য শাখার আহ্বায়ক বৈশাখী ডালমিয়া, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, বিধায়ক ও অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী, প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় প্রমুখ। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হতে চলেছে। বাংলার সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর আগেই চালু করা হবে নেক্সট জেন জিএসটি। মাত্র দুটি স্তরের জিএসটির পুরোপুরি সুবিধা তুলতে পারেন বাংলা সহ সাধারণ মানুষ। পাওয়ার পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দেন কেন্দ্রের পদক্ষেপের দিকগুলি।
দুধ, পনির, দইয়ের জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্যে আনা হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ছৌ মুখোশ, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডীর ক্ষুদ্রশিল্প, বর্ধমানের হস্তকলাশিল্প অর্থাৎ শোলার কারিগরদের সামগ্রী ৫ শতাংশ, নকশিকাঁথার শিল্পীরা, মালদহের আম, দার্জিলিংয়ের চা শিল্প, চটের ব্যাগ, হোসিয়ারি ও রেডিমেড পোশাক শিল্পও এই জিএসটি হবে। বাংলার শান্তিনিকেতনের চর্মশিল্প ও বাঁকুড়ার টেরাকোটা ও মৃৎশিল্প সামগ্রীর দাম ৫ শতাংশ স্তরে নামিয়ে আনা হয়েছে।