সাতসকালে বিজেপিকে (BJP) “বিদায়” জানিয়ে টুইট তথাগত রায়ের (Tathagata Roy)! তাঁর টুইট ঘিরে হইচই কাণ্ড। যদিও প্রতি মুহূর্তে তার মতামত পাল্টানো ও জগাখিচুড়ি টুইটের রাজনৈতিক গুরত্ব নেই বলেই মনে করে সংশ্লিষ্ট মহল। প্রচারে থাকতেই মাঝে মধ্যে টুকটাক টুইট করে থাকেন তথাগতবাবু বলে তারা মনে করেন। প্রাক্তন হোন বা বর্তমান, দেশের “বিজেপিপন্থী” রাজ্যপালরা (Govornor) ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে ঘুমনো পর্যন্ত টুইট জাগলিং করে প্রচারের আলোয় থাকতেই পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন-রানি কাহিনি…
এদিন তাঁর টুইট ঘিরে চারদিকে বেশ শোরগোল। এদিন এক টুইটে তথাগত রায় লেখেন, ”কারুর কাছ থেকে বাহবা পাবার জন্য আমি টুইটগুলো করছিলাম না। দলের কিছু নেতৃস্থানীয় লোক যেভাবে কামিনী-কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছিলেন সেটা সম্বন্ধে দলকে সজাগ করার জন্য করছিলাম। এবার ফলেন পরিচয়তে। পুরভোটের ফলের জন্য প্রতীক্ষায় থাকব। আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি !” আর এই টুইটের পরই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী শেষপর্যন্ত বিজেপি (BJP) ছাড়ছেন তথাগত রায় (Tathagata Roy)? বর্ষীয়ান নেতার টু্ইট কিন্তু তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাবে মহমেডান
এদিকে তথাগত রায়ের এমন খামখেয়ালি টুইটের পরই তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন তথাগতর টুইটের পাল্টা দিয়ে কুণাল লেখেন, “বাংলার রাজনৈতিক বিনোদন জগতে এ এক অপূরণীয় সাময়িক ক্ষতি। তিনি যে দক্ষতায় দর্শককে হাসাতেন, তাঁর অবদান মানুষ মনে রাখবেন। পাগলা দাশুর নাটকে ‘আবার সে এসেছে ফিরিয়া’-র মত সংলাপের অপেক্ষায় থাকব। তবে কামিনী অংশ বাদ দিলেও কাঞ্চন অংশে সিবিআই, ইডির তদন্তের দাবি থাকলই।”
কুণাল ঘোষ আসলে বোঝাতে চেয়েছেন, তথাগত রায়ের টুইট কেউ সিরিয়াস নেয় না। বাংলার রাজনীতির বিনোদন বলে যদি কিছু থাকে, তাহলে সেই জগতে হাসির খোরাক তথাগত রায়। সুতরাং, তিনি কী লিখলেন, কী বললেন তার কোনও গুরুত্ব বা প্রভাব বাংলার রাজনীতিতে নেই। তবে রিফ্রেশমেন্ট-এর তথাগত রায়ের আজগুবি টুইট বেশ বিনোদনমূলক। সেটা আপাতত কিছুদিন মিস করবে বাংলার মানুষ।