প্রতিবেদন : ত্রিপুরার খোয়াই থানার মামলার (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে ওসির এফআইআর) তদন্তকারী অফিসারকে কড়া চিঠি দিয়ে আইনি বিপাকে ফেললেন কুণাল ঘোষ। তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধেই আদালতে যাওয়ার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে পাল্টা চাপ বাড়িয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
চিঠিতে তিনি তার পূর্ণাঙ্গ বয়ান লিখেছেন। এই বয়ান এবং ঘটনার দিনের একটি সিডি তদন্তকারীকে অফিসারকে দিয়ে তিনি লিখিতভাবে বলেছেন, আমি আপনার ৪১এ নোটিশে সাড়া দিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আপনি আমার বক্তব্য একটি লাইনও লিপিবদ্ধ করেননি। সিডিও নিতে চাননি। তাই আমি স্পিড পোস্টে পাঠালাম। আমার বয়ান এবং সিডি কেস রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করুন এবং এগুলি কোর্টে পেশ করুন।
বুধবার বিকেলে খোয়াই থানায় চিঠিটি পৌঁছে গিয়েছে।
লিখিত বয়ানে কুণাল দেখিয়েছেন কেন অভিষেক-সহ ছয় নেতার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। উল্টে পুলিশের যাবতীয় আইন বহির্ভূত কাজ তুলে ধরেছেন তিনি। কুণাল প্রশ্ন তুলেছেন কেন তাঁর জেরার ভিডিও রেকর্ডিং হয়নি?
কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন, তদন্তকারী অফিসার যদি এই বয়ান এবং সিডি তদন্তে অন্তর্ভুক্ত না করেন, তাহলে আমরা আদালতে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্তের অভিযোগ আনব। আমরা জানাব নোটিশ দিয়ে ডেকেও যথাযথ বয়ান নেওয়া হয়নি। তদন্ত পক্ষপাতদুষ্টভাবে করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরার নতুন কমিটির সঙ্গে আজ অভিষেকের বৈঠক
এই মামলার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে সরকার বলেছিল, তদন্ত শেষ। তখন হাইকোর্ট বলে দেয় এই মামলায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চার্জশিট পেশ করা যাবে না। তা সত্ত্বেও তদন্তের নোটিশ যায় কুণাল, সুবল ভৌমিক, প্রকাশ দাসের কাছে। তদন্ত শেষ বলার পরেও কী করে জেরার নোটিশ যায়, তা নিয়েও আদালতে লড়াই চলছে।
উল্লেখ্য, সেদিন এনসিসি থানায় এই জেরা পর্ব শেষের পর তদন্তকারী অফিসার লিখে দেন কুণাল আইনমাফিক সহযোগিতা করেছেন। তারপর সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কুণাল। এবার কলকাতা থেকেই চিঠি দিয়ে খোয়াই থানাকে পাল্টা চাপ দিলেন কুণাল।