বাংলা ভাগের দাবী বিজেপি বিধায়কের, লোডশেডিং বিধায়ক -বিরোধী দলনেতা, রাজ্য সভাপতি, রাজ্যপাল চুপ কেন? বিজেপিকে ধুইয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ

Must read

প্রতিবেদন : আবারও বিজেপি বিধায়ক বঙ্গভঙ্গের দাবী তুলে দিয়ে পাহাড়কে সমতল থেকে আলাদা করার জন্য প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখেছেন। এটা জানার পরেও বিজেপি রাজ্য সভাপতি বা কোন সিনিয়র লিডাররা একটি কথাও বলেননি। পুরনির্বাচনের আগে এই নিয়ে হইচই হওয়ায় বিজেপিকে ধুইয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপত্র কুণাল ঘোষ। বললেন , বিজেপি আগে তার নীতি স্পষ্ট করুক। তাদের বিধায়ক বঙ্গভঙ্গ চাইছেন কিন্তু তাদের নেতারা একটি কথাও বলছেন না,চুপ করে আছেন।

কুণালের সংযোজন, এরাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কথায় কথায় সকাল বিকেল টুইট করেন,কিন্তু বঙ্গভঙ্গের দাবী উঠলে তিনি কোন প্রতিবাদ করছেন না,টুইট করছেন না। তিনি নিজেও তো দার্জিলিংয়ে গিয়ে থাকেন মাঝেমধ্যে। বাংলা ভাগে দাবী উঠবে আর তিনি চুপ করে থাকবেন। যিনি নিজেকে কার্যত বিজেপির কার্যকরী সভাপতি বানিয়ে ফেলেছেন তিনি নির্লজ্জভাবে চুপ করে আছেন। বিজেপির লোডশেডিংয়ের বিধায়ক বিরোধী দলনেতা যিনি বড় বড় কথা বলেন তিনি এব্যাপারে একটি কথাও বলছেন না। বিজেপির নীতির ঠিক নেই।

ভোট আসলেই তখন উস্কানিমূলক,প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে বাংলাকে অশান্ত করতে চায় বিজেপি। ২০২১শে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির ডেলি প্যাসেঞ্জারি করা কেন্দ্রীয় নেতারা প্লেনে চেপে বাংলায় এসে বলতেন ‘সুনার বঙ্গাল বানাবো’,কই তখন তো তারা বলেননি যে ভোটে জিতলে বাংলা ভাগ করে দেব। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২০২১ এ বিজেপিকে গো হারা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন : পুরভোট নিয়ে বিজেপির দ্বিচারিতা, প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে অজুহাত খাঁড়া করছে বিজোপি, তীব্র আক্রমণ কুণাল ঘোষের

বিপুল ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়ী করে বাংলার মানুষ বিজেপিকে বুঝিয়ে দিয়েছে এখানে তাদের কোন জায়গা নেই।বিজেপিতে এখন আর কেউ থাকতে চাইছে না। এখন ওদের লক্ষ্য উস্কানিমূলক,প্ররোচনামূলক কাজকর্ম করে বাংলায় শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করা। এটা কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। তিনি বলেন, পাহাড় বাংলার অবিচ্ছেদ্দ অঙ্গ ছিল,আছে,থাকবে। পাহাড় সাগর একসাথে ছিল,আছে,থাকবে। বঙ্গভঙ্গের দাবী তুলে কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন কিন্তু বিজেপি এখনও তাকে বহিষ্কার বা সতর্ক পর্যন্ত করেনি।

বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকার প্রশাসনিক দিক থেকে নজর রাখছে,এরাজ্যে কোথাও কোন উস্কানি বা প্ররোচনামূলক কাজকর্মকে বরদাস্ত করবে না প্রশাসন। যেকোন অবস্থাতে শান্তি বজায় রাখাই একমাত্র লক্ষ্য সরকারের।

Latest article