প্রতিবেদন : ফের মিথ্যাচারকে সামনে এনে রাজনীতি বিরোধী নেতার। লোডশেডিং নেতার অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাংলার বাইরে গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু তা হল চরম মিথ্যা। ইতিমধ্যেই ভেলরে গিয়ে এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিনিময়ে বহু মানুষ নিঃখরচায় চিকিৎসা করে এসেছেন। বাংলার প্রকল্পকে মিথ্যা করার জন্য বিজেপির এই ঘৃণ্য রাজনীতি। আর তারই তথ্য প্রমাণসহ জবাব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন-কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে আচমকাই চলে গেলেন গায়ক কে.কে
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের চালু করা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে। এই কার্ড রাজ্যের বাইরে চলে না। সারা ভারতের বহু মানুষ যখন আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ হল একমাত্র রাজ্য যেখানে আয়ুষ্মান ভারতের সুযোগ পাচ্ছে না মানুষ। তিনি রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভোটের সময় রাজনীতি। ভোট বাদ দিয়ে সবসময় মানুষের জন্য কাজ, এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত চালু করা হোক। যাতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির ৯ বছর পূর্তির সময়ে রাজ্যের কতজন আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন তা জানতে পারা যায়। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের অভিযোগেও সরব হন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন-সিভিল সার্ভিসে কৃতীদের পরামর্শ
রাজ্য সরকারের বিপুল জনপ্রিয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে শুভেন্দুর এহেন মিথ্যাচারের পাল্টা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, আয়ুষ্মান ভারত ও স্বাস্থ্যসাথী দুটি আলাদা আধারের উপর নির্ভর করে। শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। আয়ুষ্মান সকলে পাবেন না, কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী সবাই পাবেন। আয়ুষ্মান ভারতে অর্ধেকের বেশি এর এক্তিয়ারে পড়বে না। যার বাড়িতে টিভি আছে, মোবাইল আছে তারা আয়ুষ্মান ভারতের আওতার বাইরে। তবে তারা কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী পাবেন। আসলে সব জেনেও বিভ্রান্তিকর প্রচার করছেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন-রেলের উচ্ছেদ রুখলেন তৃণমূল বিধায়ক
পাশাপাশি নাম বদলের অভিযোগ প্রসঙ্গে এদিন শুভেন্দুকে কার্যত ধুয়ে দিয়ে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “আগে বলুন আমেদাবাদের স্টেডিয়ামের নাম বদল করে কেন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম করা হল? প্রকল্পগুলি চালানোর জন্য কেন্দ্র পুরো টাকা দেয় না। কোথাও অর্ধেক তো কোথাও অর্ধেকের বেশি রাজ্যকে দিতে হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষদের নাম বুঝতে অসুবিধা হয় সেটাও একটা কারণ।” পাশাপাশি তিনি বলেন, আর নাম বদলের কথাই যদি বলা হয় সেক্ষেত্রে, অহরহ নাম বদল করে চলেছে কেন্দ্র। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের চালু করা প্রকল্পের নাম বদল করে নিজেদের নামে চালানো হচ্ছে। কোনও ঐতিহাসিক জায়গা, মানুষ যে নামে সেই জায়গাকে চিনতো তার নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে। একটা গোটা স্টেডিয়ামের নাম বদল করে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম করে দেওয়া হল।