প্রতিবেদন : ভুল পোস্ট করেছেন। তাই পুলিশ তলব করেছে। ভয় দেখাতে বা হুমকি দিতে নয়। পুলিশ সতর্ক করে দিতে চেয়েছে। জনমানসে যেন ভুল তথ্য না যায়, তাই। তাহলে বিপ্লবী সাজার চেষ্টা করছেন কেন ডাক্তার কুণাল সরকার (Kunal Sarkar)? তিনি লালবাজারে গেলেন যেন স্বাধীনতা সংগ্রামীর মতো। সঙ্গে আর-এক চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী।
ভুল তথ্য, ভুয়ো অডিও বা ধর্ষিতার নাম ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের প্রত্যেককেই পুলিশ ডেকেছে, সতর্ক করে দিয়েছে। সেইমতো ডাক্তার কুণাল সরকার ও ডাক্তার সুবর্ণ গোস্বামীকেও তলব করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের সেই তলবে ডাক্তারদ্বয় এমনভাবেই লালবাজারে গেলেন, তাঁরা যেন স্বাধীনতা সংগ্রামী! এ-প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, ভুল তথ্য দিলে, বিভ্রান্তি ছড়ালে পুলিশ চিকিৎসককে ডাকতে পারবে না, এমন কোনও নিয়ম আছে কি? তাঁরা ভুল বার্তা দিয়েছেন, ভুল তথ্য দিয়েছেন। তথ্য বিকৃত করেছেন। তাই স্পর্শকাতর বিষয়ে যাতে জনমানসে ভুল বার্তা না যায়, তার জন্য সতর্ক করে দিতেই পুলিশ তলব করেছে। পুলিশের গ্রেফতার করার কোনও অভিপ্রায় নেই। গ্রেফতার করতে যাবে কেন পুলিশ? এমন কথা কোথাও বলা হয়নি। তাঁর স্পষ্ট কথা, চিকিৎসকেরা সম্মাননীয়। তাঁদের প্রত্যেককে সম্মান করি আমরা, সর্বস্তরের মানুষ তাঁদের সম্মান করে। তাঁদের অসম্মান করার জন্য এই তলব নয়। একটা স্পর্শকাতর বিষয়ে পোস্ট করার আগে সাবধানতা অবলম্বন করা এবং তাঁদের কাছে কিছু তথ্য থাকলে তা জানাই ছিল পুলিশের উদ্দেশ্য। ডাকা হয়েছিল তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কেও। সেক্ষেত্রেও ডাকা হয় ভুল তথ্য পোস্ট করার জন্য। সেক্ষেত্রেও স্পর্শকাতর বিষয়ে পোস্টের আগে সতর্ক করাই ছিল পুলিশের উদ্দেশ্য। ডাক্তার কুণাল সরকার ও ডাক্তার সুবর্ণ গোস্বামীর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা নয়।
প্রসঙ্গত তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ একটি এক্স বার্তাও দেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, বেসরকারি হাসপাতালে বিপুল টাকায় অপারেশনের পর ভেতরে থেকে যায় গজ। সরকারি হাসপাতালে এনে আবার অপারেশনে প্রাণ বাঁচে। সেই চিকিৎসক গ্রেফতার হননি কেন? মিডিয়ার প্রমোট করা তৃণমূলবিরোধী বলে? নাগরিকসমাজ কী বলেন? তিনি আরও লেখেন, প্রতিবাদী পোস্ট হলেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে, এই ন্যাকামির মিথ্যা বন্ধ করুন। প্রতিবাদ করবেন ভাবলে সঠিক ভাষায়, যুক্তিতে একশোবার করুন। হাজারবার করুন। কিন্তু ভুল তথ্য, বিকৃত অনুমান, ভুয়ো অডিও, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্ররোচনা ছড়ানোর পোস্ট, নিহতের নাম-ছবি, এসব দিলে পুলিশ সতর্ক করবেই।
আরও পড়ুন- আবার বিজেপি-রাজ্যপাল চক্রান্ত: রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে জটিলতা বাড়ানোর খেলা, ভোটে হেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি