আগামী রবিবার রাজ্যের ১০৮ কেন্দ্রে পুরভোট। তার আগে আজ ছিল শেষ রবিবার। প্রচারে ঝড় তুলতে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে নদিয়া- দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে 4টি সভা করলেন তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। প্রত্যেক সভাতেই উপচে পড়া ভিড়।
প্রথম সভাটি হয় অশোকনগর (Ashoknagar) পুরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী জয়া দত্তর সমর্থনে। দ্বিতীয়সভা হরিণঘাটা (Haringhata) পুরসভার ২নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রাকেশ পাড়ুইয়ের সমর্থনে। তৃতীয়সভা হালিশহর পুরসভার তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থীদের সমর্থনে। এদিন শেষ সভাটি কুণাল ঘোষ করেন ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী (Ayan Chakraborty)।
আরও পড়ুন – সাধন পাণ্ডের মতো রাজনীতিবিদের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব
তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ভোট দিতে যাওয়ার আগে তিনটে কথা মাথায় রাখা উচিত। প্রথমত, কেন্দ্রীয় জনহিরোধী নীতি। দ্বিতীয়ত রাজ্য সরকারের জনমুখী নীতি। আর তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল স্থানীয় উন্নয়ন। কুণাল বলেন, মুখে বিজেপি (BJP) বলে, “ভারত মাতা কি জয়”। অথচ মায়ের গায়ের থেকে এক একটি গয়না খুলে খুলে তারা বিক্রি করে দিচ্ছে। সর্বশেষ বিক্রি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। এখন এলআইসির দিকে হাত বাড়িয়েছে। কেন্দ্রের পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধেও সরব হন তৃণমূল (Trinamool Congress) মুখপাত্র।
অথচ রাজ্যের তৃণমূল সরকার একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করে চলেছে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী পরে এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সব কিছুর সুবিধা পাচ্ছেন বাংলার মানুষ। পুরসভায় তৃণমূল জিতলে এলাকাবাসী ‘ডবল ইঞ্জিন’-এর সুবিধা পাবেন। রাজ্যের যেভাবে উন্নয়ন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay), সেই পথেই কাউন্সিলররাও এলাকার উন্নয়ন করতে পারবেন।
এলাকার বামপন্থী মানুষের প্রতি তৃণমূল মুখপাত্র আবেদন করেন, যে দলকেই সমর্থন করুন না কেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে ভোটটা তৃণমূলকে দিন। বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কুনাল ঘোষ। তাঁর কথায়, যে বিজেপি প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন তিনি আদি বিজেপি না তৎকাল বিজেপি আগে সেটা দেখুন। তিনি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির লোক না নতুন রাজ্য সভাপতির লোক তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল।
পাশাপাশি, দলীয় প্রার্থীদের জনসংযোগের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের কাছে বিনীত আবেদন জানাতে। একইসঙ্গে কুণাল অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বার্তা দেন। বলেন, যেখানে তৃণমূল জিতবেই, সেখানে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনও কাজ কেউ করবেন না। একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনাও দলীয় ভাবমূর্তির পক্ষে খারাপ ইঙ্গিত দেয়।
প্রত্যেকটি সভায় স্থানীয় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কোভিড বিধি মেনে, মাস্ক পরে সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয়রা। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে কুণালের বক্তব্যকে বিপুল হাততালি দিয়ে সমর্থন জানান এলাকাবাসী।