সংবাদদাতা, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম : শনিবার সকালে পুরুলিয়া জেলাশাসকের দফতরে ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের সচিব সঞ্জয় বনসলের সঙ্গে আলোচনা শেষে বেরিয়ে পুজোর মুখে মানুষের সমস্যার কথা ভেবে তাঁদের অবরোধ আন্দোলন (Kurmi Community Protest) আপাতত তুলে নেওয়া হল বলে ঘোষণা করেন আদিবাসী কুর্মি সমাজের মূল মানতা মূল খুঁটি অজিতপ্রসাদ মাহাত। তবে কুর্মিদের তফসিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন চলবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। যদিও তাঁর ওই ঘোষণার পরও কুস্তাউর স্টেশনের অবরোধস্থল থেকে সরেননি শতাধিক আন্দোলনকারী। খেমাশুলিতে রেললাইনও অবরোধমুক্ত হয়নি। পিছন থেকে বিজেপির মদকে আন্দোলনকারীদের একাংশ অবরোধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে বেঁকে বসেন। ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়। শনিবার রাতে এই খবর লেখা পর্যন্ত তাই ধোঁয়াশা থেকে গিয়েছে কুর্মিদের (Kurmi Community Protest) পাঁচদিন ধরে চলা আন্দোলন নিয়ে। তবে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি থেকে অবরোধ উঠেছে। শনিবার তাঁদের আন্দোলন নিয়ে খেমাশুলিতে কুর্মি নেতারা আলোচনায় বসলেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি বলে খবর। স্বাভাবিক কারণেই আগের মতোই রেল ও ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ চলছে খেমাশুলিতে। ফলে পাঁচ দিনের টানা অবরোধে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষ। পুজোর মুখে আন্দোলনের জেরে বিপদে নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। শনিবারও ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক মুম্বই রোডে কোনও যান চলাচল করেনি। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ও খড়্গপুর সেকশনে বাতিল করতে হয়েছে ২৫২টি মেল-এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ৮৩ ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত বা বদলও করতে হয়। ফলে পুজোর মুখে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্য বড় ধাক্কা খেয়েছে। মুম্বই রোডে পাঁচ দিন ধরে আটকে রয়েছে সারি সারি আলু, পেঁয়াজ, পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের গাড়ি-সহ পণ্য বোঝাই বহু লরি। সব মিলিয়ে কুর্মিদের আন্দোলনের ফলে সমস্যা বেড়েই চলেছে।