লেবার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক, ঋতব্রতর প্রশ্নে দিশাহারা কেন্দ্র

ঋতব্রতর অভিযোগ, জলপাইগুড়ি রিজিওনাল পিএফ অফিস এখন ঘুঘু্র বাসা। কিন্তু কোনও তথ্যই দিচ্ছে না কেন্দ্র। তারা শুধুই অসাধু মানুষদের স্বার্থে কাজ করছে।

Must read

প্রতিবেদন: শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার প্রশ্নে মোদির সরকার যে কতটা উদাসীন তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল দিনের আলোর মতোই। বাংলার শ্রমিকদের প্রতি কেন্দ্রের অবহেলা এবং বঞ্চনার একের পর এক তথ্য তুলে ধরে লেবার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রের জবাব চেয়েছিলেন আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অদ্ভুত বিষয়, একটি প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারেননি কেন্দ্রের শ্রমসচিব। আসলে বাংলার যুক্তিপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার মতো কিছু ছিলই না শ্রম দফতরের কাছে। তাই ঋতব্রতর প্রশ্নের মুখে কার্যত দিশাহারা হয়ে নানাভাবে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেছেন লেবার সেক্রেটারি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বলেছেন, লিখিতভাবে জানাবো। অসংগঠিত শ্রমিকের তথ্য নিয়েও কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে বিভ্রান্তি। লেবার সেক্রেটারির দাবি ৮২ শতাংশ। ঋতব্রতর বক্তব্য, ইন্টারনেট বলছে ৯০ শতাংশ। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক কাজ করছে বলে কেন্দ্র যে দাবি করে, তার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের রাজ্যসসভার সাংসদ। তাঁর কথায়,২৫ শতাংশ বিড়ি শ্রমিক থাকেন মুর্শিদাবাদে। সরকারি পোর্টালের তথ্যই বলছে সে কথা। ওখানে বিড়ি হাসপাতাল আছে কেন্দ্র সরকারের। ৬৫ টি শয্যা। ১০ জন চিকিৎসক থাকার কথা, কিন্তু আছেন ২জন। ৫জন নার্স। ফার্মাসিস্ট ২ জন। তিনটি অপারেশন থিয়েটার আছে একটাও কাজ করে না। ল্যাব্রোটারিও অচল। ঋতব্রত এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেন্দ্রের দাবি যে কতটা অসত্য, তা দেখিয়ে দেন চোখে আঙুল দিয়ে।
ঋতব্রতর অভিযোগ, জলপাইগুড়ি রিজিওনাল পিএফ অফিস এখন ঘুঘু্র বাসা। কিন্তু কোনও তথ্যই দিচ্ছে না কেন্দ্র। তারা শুধুই অসাধু মানুষদের স্বার্থে কাজ করছে।

আরও পড়ুন-বিদেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ সাগরিকার

সূত্রের খবর মনোজ টিজ্ঞা এই কমিটির সদস্য (বিজেপি সাংসদ) শিকার করে নিয়েছেন জলাপাইগুড়ি পিএফ অফিসের ভয়ঙ্কর অবস্থা। হলদিয়ায় কেন্দ্রীয় সংস্থায় বেশ কিছু শ্রমিক তাঁরা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের এবং ঠিকাকর্মীদের পিএফ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী শ্রমিকদের যে পিএফের টাকা কাটা হলেও তা জমা দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক এই বিষয়ে একাধিকবার সল্টলেকের পিএফ অফিসে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কোনও উত্তর আসে নি। ইএস আই হাসপাতাল নিয়েও কেন্দ্রের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন ঋতব্রত। তাঁর কথায়, রাজ্যে দুটো বড় ইএস আই হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। একটি শিলিগুড়িতে এবং একটি হলদিয়ায়। রাজ্য সরকার হাসপাতাল দুটি চালাতে চেয়েছিল। কেন্দ্র রাজি হয়। রাজ্য চিকিৎসক এবং নার্স নিয়োগও করে হাসপাতালের জন্য। কিন্তু অবাককাণ্ড, কিন্তু কেন্দ্র হস্তান্তর করছে না। তা হলে তো হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাবে। কী করছে কেন্দ্র? না, ঋতব্রতর একটি প্রশ্নেরও জবাব দিতে পারেনি কেন্দ্র।

Latest article