সমর্থন নেই সহকর্মীদের, উঠল অনশন

প্রথমে এসএসসি দফতরের সামনে। তারপর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ অনশন-আন্দোলনের রাস্তায় হেঁটেছিল

Must read

প্রতিবেদন : প্রথমে এসএসসি দফতরের সামনে। তারপর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ অনশন-আন্দোলনের রাস্তায় হেঁটেছিল। কিন্তু সমর্থন তাঁদের সঙ্গে ছিল না। চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের বড় অংশই রাজ্যের লড়াইয়ে সহমত। তাই পাততাড়ি গুটিয়ে অনশন তুলে নিলেন একাংশ চাকরিহারা। বিলম্বিত বোধোদয় হল তাঁদের।
প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী, পরে তাঁর নির্দশে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু চাকরিহারাদের নিয়ে বৈঠক করার পরই প্রমাণিত হয়ে যায়, অনশন-আন্দোলন ছিল উদ্দেশ্যহীন।

আরও পড়ুন-কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

তাঁরা যে রাজনৈতিক প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে এই পথে হেঁটেছিলেন, তা সুস্পষ্ট। শিক্ষকদের বৃহৎ শ্রেণি বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে, রাজ্যের পথই সঠিক পথ। রাজ্য যে পথে আইনি লড়াইয়ের রূপরেখা তৈরি করছে, সেই পথেই মিলবে ন্যায়বিচার। অনশন-আন্দোলন করে কোনও সমাধান সূত্র মিলবে না, মিলতে পারে না।
বাম-বিজেপির উসকানিতে চাকরিহারাদের একাংশ এসএসসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান ও অনশন-আন্দোলন শুরু করে। তারপর ওয়াই চ্যানেলে এসে চাকরিহারারা প্রচারের আলোয় আসতে চায়। কিন্তু যেখানে সিংহভাগের সমর্থনই নেই, সেই আন্দোলনের কোনও গুরুত্ব থাকতে পারে না। তাই গুরুত্ব হারিয়েই অনশন-আন্দোলনে রণে ভঙ্গ দিতে হয়। শিক্ষামন্ত্রী, এসএসসি দফতর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকে আইনি পথেই সমাধান সূত্র খুঁজছেন চাকরিহারা শিক্ষকেরা। এছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই, তা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত শিক্ষক শ্রেণিও এবার বুঝতে পেরেছে। বিকাশ ভবনের বৈঠক-শেষে চাকরিহারা শিক্ষকেরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা অনশন করছেন না। রাজ্যের কাছে তাঁরা যোগ্য-অযোগ্য তালিকা চেয়েছেন। সেই সঙ্গে মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আইনি পরামর্শ নিয়ে ২১ এপ্রিলের পরে দুটি বিষয়ই প্রকাশ্যে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অনশনরত শিক্ষকদের কাছেও স্পষ্ট হয়ে যায় তাঁদের পথ সঠিক নয়। তাই নিজেরাই ড্রপ-বক্স বানিয়ে রিভিউ পিটিশনের জন্য পরামর্শ চাইলেন। কার্যত এবার রাজ্যের দেখানো পথেই পা দিলেন তাঁরা।

Latest article