মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদর্শী পরিকল্পনায় দেশের অন্যতম শিল্প-বান্ধব রাজ্য হয়ে উঠছে বাংলা। শিল্প প্রসারে প্রস্তুত বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার। লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলছে বাংলায়।
সম্প্রতি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। এই বিপুল বিনিয়োগকে শিল্পে রূপান্তরিত করতে মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি গড়েছেন সিনার্জি কমিটি। অনতিবিলম্বে শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে বাংলায় কর্মসংস্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান লক্ষ্য। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলায় শিল্প প্রসারের সেই বার্তাই তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন-সর্বনিম্ন! রাজধানীতে ১০ শতাংশের নীচে মহিলা বিধায়কের সংখ্যা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুশাসনে বাংলায় একটা শ্রমদিবসও নষ্ট হয় না। রাজ্যকে শিল্প-বান্ধব করে গড়ে তুলতে সমস্তরকম পরিকল্পনা সেরে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ধর্মঘটমুক্ত পরিবেশ বাণিজ্যের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে রাজ্যে। অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ধর্মঘট মুক্ত পরিবেশের কথা তুলে ধরেন। ভারতীয় অর্থনীতিতে শিল্পের গুরুত্ব )বুঝে এবং মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শী পরিকল্পনায় ভরসা রেখেই এবার বাণিজ্য সম্মেলনে বিপুল বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে নতুন করে। তা রাজ্যকে কর্মসংস্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। যেমন, বীরভূমের জন্য বড় খবর দেউচা-পাঁচামি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তথা দেশের বৃহত্তম এই কয়লা খনিতে খননকার্যও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে এক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এবার ৪০টি দেশের ২০০ বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছিলেন বাণিজ্য সম্মেলনে। তাঁরা একের পর এক লগ্নি প্রস্তাব দিয়ে গিয়েছেন বাংলার জন্য। রিলায়েন্স গ্রুপের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন। সেইমতো তিনি ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন বাংলার শিল্পে। জিও স্টোর, এআই সেন্টার, গ্রিন এনার্জি ও কেবল ল্যান্ডিংয়ে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।
আরও পড়ুন-কুমেরু অভিযানে বাংলার প্রথম মহিলা
জেএসডব্লু গ্রুপ ১৬ হাজার কোটি বিনিয়োগ করবে। সেই টাকায় দুটি ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন হবে। অম্বুজা-নেউটিয়া গ্রুপ আগামী পাঁচ বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। আরপি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপ ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে শক্তি, পরিকাঠামো ও শিক্ষা খাতে। এছাড়াও অর্থনৈতিক করিডর ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন পশ্চিমবঙ্গকে দ্রুত বিনিয়োগের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলা শিল্প প্রসারের জন্য প্রস্তুত। বাংলার মানুষ প্রস্তুত সেই উন্নয়নের অংশ হতে। আইটি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সেমিকন্ডাক্টর, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রায় দুই লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। চর্মশিল্পে ৪ লক্ষ এবং বিভিন্ন শিল্পপার্কে লক্ষাধিক কর্মসংস্থান হবে। এমএসএমইতে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে।