সুমন করাতি, হুগলি: ত্রিবেণীতে কুম্ভমেলায় শাহিস্নান। আনুমানিক ৭০৩ বছর পর এবারে মেলার আয়োজন হয়েছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভা ও ত্রিবেণী উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে গতবছর থেকে নবরূপে সেজে উঠছে হারিয়ে-যাওয়া এই ঐতিহাসিক ধর্মীয় মেলা।
আরও পড়ুন-মোদির আচ্ছে দিন, ৩ বছরে আত্মঘাতী ১ কোটি ১২ লাখ দিনমজুর, লোকসভায় প্রকাশ তথ্য
রঘুনন্দনের প্রায়শ্চিত্ততত্ত্ব গ্রন্থে ত্রিবেণীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ইতিহাসের বইপত্র ঘেঁটে জানা যায়, একসময় সপ্তগ্রাম ও ত্রিবেণীকে শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসাবেই গণ্য হত ভারতবর্ষে। উত্তরে এলাহাবাদের প্রয়াগ যুক্তবেণী ও দক্ষিণে এই ত্রিবেণীর প্রয়াগ হল তাঁর মুক্তবেণী। বিভিন্ন সাধুসন্তের কথায়, এটাই কুম্ভের উপযুক্ত স্থান। আধ্যাত্মিক চেতনায় এই স্থানের গুরুত্ব অপরিসীম। ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি এই মেলায় হাজির কয়েকশো নাগাসাধু। বসছে সনাতনধর্মের বিভিন্ন আখড়া। আজ সঙ্গমে নাগাসন্ন্যাসী ও সনাতনী পুণ্যার্থীরা করলেন কুম্ভস্নান। এ ছাড়াও ত্রিবেণীর শিবপুর মাঠে চলবে ত্রিদিবসীয় হোম-যজ্ঞ। চলবে স্তোত্রপাঠ, হবে গঙ্গারতি। কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার প্রায় তিন লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও রাজ্য প্রশাসন এই মেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেছে।