সংবাদদাতা, গঙ্গাসাগর : মাঘীপূর্ণিমা (Maghi Purnima) উপলক্ষে রবিবার প্রায় এক লক্ষ পুণ্যার্থী সাগরস্নান করলেন। ভোর থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী সাগরজলে নেমে পড়েন। অন্যদিনের তুলনায় রবিবার ভোর থেকে শীতের কামড় একটু বেশি ছিল। ঠান্ডা উপেক্ষা করে মানুষ সাগরস্নানে নেমে পড়েন। গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) ১, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর তট বরাবর মানুষের ভিড়ে জমজমাট ছিল। কাকদ্বীপের লট নম্বর আট, কচুবেড়িয়া থেকে পুণ্যার্থীদের দীর্ঘ লাইন পড়ে ভোররাত থেকে। পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে মুড়িগঙ্গা নদীতে অতিরিক্ত ১২টি ভেসেল চালানো হয়। কচুবেড়িয়া (Kochuberia) থেকে বাস ও ছোটগাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হয়। সাগরের যাত্রাপথে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। জেটি ও বাস স্ট্যান্ডে পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়াররা মোতায়েন ছিল। মেলামাঠেও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা তদারকি করেন। শনিবার রাতভর হাজার হাজার পুণ্যার্থী মেলামাঠের অস্থায়ী যাত্রীনিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সাগরস্নানের পর কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন পড়ে ভোর থেকে। একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নানারকম ব্যবস্থা করে। কপিলমুনি মন্দির চত্বরে বসে দোকানপাট। চলে বিকিকিনি। মকর সংক্রান্তির পরেই সবচেয়ে বেশি পুণ্যার্থী আসেন মাঘীপূর্ণিমায় (Maghi Purnima) সাগরস্নানে। সেজন্য এই তিথিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অস্থায়ী যাত্রিনিবাস, পানীয়জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবছরের ভিড় ছিল অতীতের চেয়ে অনেক বেশি। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘মকর সংক্রান্তিতে এবারে রেকর্ড ভিড় হয়েছিল। সেই ধারা মেনে মাঘীপূর্ণিমাতেও প্রায় লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা রাখা ছিল। পুণ্যার্থীরা এসে স্নান ও পুজো সেরে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরেছেন।’