মণীশ কীর্তনীয়া, বর্ধমান: এর আগে পূর্ব বর্ধমানের এই বালিগোদার মাঠে এসেছিলেন গত বছর। সেদিনও ছিল প্রশাসনিক জনসভা। নতুন বছরের শুরুতেই আবারও সেই বর্ধমান জেলা, আবারও সেই মাঠ। আবারও সেই মাঠ-ছাপানো ভিড়। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে আবারও সেই আবেগের জনবিস্ফোরণ।
আরও পড়ুন-বাজার মন্দা, তাই নতুন শেয়ার বিক্রি স্থগিত রাখল আদানি গোষ্ঠী
তবে বৃহস্পতিবার নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার গোদাবালি মাঠে নামা-ইস্তক তুমুল চিৎকার করে জননেত্রীকে— বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাল— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে গলা মেলাল— তা দেখে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের রক্তচাপ বাড়তে বাধ্য। মুখ্যমন্ত্রী যখন সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা তুলে দিচ্ছেন উপভোক্তাদের হাতে তখনও যেমন প্রবল হাততালি, তেমনি যখন কোনও শিশুর হাতে টেডিবিয়ার তুলে দিচ্ছেন তখনও ছেলে-মেয়েদের উচ্ছ্বাস-উল্লাস দেখে কে! এর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিজেপির সমালোচনায় মুখর, বাছাই করা চোখা-চোখা ভাষণে বিজেপিকে বিঁধছেন তখন হাততালি আর চিৎকারে কানপাতা দায়! এই ছবি দেখার পর আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেন তা বোঝা যায়।
আরও পড়ুন-লুকআউট নোটিশ জারি করে গৌতম আদানির গ্রেফতারি চাই: সুখেন্দুশেখর
বাংলার মানুষ যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই আছে তা বারবার জানান দিয়ে যায় জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে ঘিরে আবেগ দেখলে। এদিন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান— দুই জেলা মিলিয়ে ৫৩২ কোটি ৫ লক্ষ টাকার মোট ১৯৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী।